নভেল করোনাভাইরাস মহামারীতে বিপর্যস্ত সমগ্র দেশ। মহামারীর সময়ে দরিদ্র শ্রেণী এবং আপামর জনসাধারণকে সর্বদিক থেকে সহায়তা করে চলেছে সরকার। এই মর্মে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার সকল মানুষের জন্য বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা করেছে। কেন্দ্র সরকার সারা দেশে ‘One Nation One Ration Card’ প্রকল্প প্রচলন করেছে, যাতে দেশের সকল মানুষ যে কোন স্থান থেকে নির্বিঘ্নে রেশন সুবিধা লাভ করতে পারে। কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার যোগ দেয়নি ঠিকই, এ রাজ্যের রয়েছে নিজস্ব রেশন প্রকল্প ‘খাদ্যসাথী প্রকল্প’। এর আওতায় মানুষের জন্য তারাও বিনামূল্যে রেশন সরবরাহ করছে। কিন্তু অনেক মানুষেরই দাবি যে, তাঁরা রেশন পাননি, অনেক মানুষ আবার দাবি জানিয়েছেন, দরিদ্ররা রেশন পাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু মধ্যবিত্ত শ্রেণী এই সুবিধার বাইরে, আবার উচ্চবিত্তদের মতে তারাও এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই এবার পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দপ্তর এর তরফ থেকে রেশন কার্ড সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সরকার ঘোষণা করেছেন, আর কিছুদিন পর থেকেই ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন করতে পারবেন সাধারণ মানুষেরা এবং এই বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র শ্রেণী থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত শ্রেণী রেশন পাবে সকলেই। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, এই ডিজিটাল রেশন কার্ডে রেশনের উপর কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে মানুষকে। নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সুসংবাদ হল, আগামী মাস থেকেই এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন জনসাধারণ।
আবেদন প্রক্রিয়া (Application Procedure)–
অফলাইন প্রক্রিয়া -
ব্যক্তিকে এই ডিজিটাল রেশন কার্ড পেতে হলে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য একটি ফর্ম ফিলাপ করে জমা দিতে হবে। এই ফর্ম পাওয়া যাবে খাদ্য দপ্তরের অফিসে এবং স্থানীয় সমস্ত রেশন দোকানে।
অনলাইন প্রক্রিয়া –
ভর্তুকিহীন ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য অনলাইনেও এখন আবেদন করা যাবে। অনলাইনে এই ফর্ম ফিলাপের জন্য http://www.wbpds.gov.in -এই ওয়েবসাইটে গিয়ে ১০ নম্বর ফর্ম ডাউনলোড করে তা ফিলাপ করতে হবে। ফর্ম ফিলাপের সময় পরিচয় পত্র হিসেবে আধার কার্ডের ছবি আপলোড করতে হবে।
আবেদন করার মাত্র ৩০ দিনের মধ্যেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে এই ডিজিটাল রেশন কার্ড। তবে এই নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ড একবার ব্যক্তির নামে তৈরি হয়ে গেলে আগের পুরনো রেশন কার্ডটি বাতিল হয়ে যাবে। এই নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহক ছাড়ে রেশন দোকান থেকে জিনিস কিনতে পারবেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ১০ নম্বর ফর্ম চালু করা হয়েছে। এই রেশন কার্ডে ব্যক্তির নাম, ঠিকানা এবং জন্ম তারিখ উল্লেখ করা থাকবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য, সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, যে সমস্ত বিত্তশালী মানুষদের দু টাকা কেজি চালের রেশন কার্ড রয়েছে, তারা যেন এই নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেন এবং পুরনো রেশন কার্ডটি জমা দেন।
Image Source - Google
Related Link - ১ লা জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্কে রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা (APY), না হলে বঞ্চিত হবেন এই সুবিধা থেকে
জুলাইয়ে ব্যাঙ্কের নিয়মে (Banking Rules) হতে চলেছে বড় পরিবর্তন, এখনই জেনে নিন
বায়োফ্লকে (bioflock system) মাছ চাষ