কৃষিজাগরন ডেস্কঃ বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস প্রতি বছর ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।আমরা শুধু এই দিনটিতেই মাটির কথা,মাটির স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করি। কিন্তু সারা বছর মাটি নিয়ে আমরা কোন কথাই বলি না। কিন্তু একটু ভেবে দেখলে বুঝে নিতে কোন অসুবিধা হয় না যে জীব বৈচিত্রের যে পরিবর্তন তা মাটি থেকেই শুরু হয়েছিল।এটা কি অদ্ভুত নয় যে আমরা মাটি সম্পর্কে যথেষ্ট কথা বলি না? ব্যাপকভাবে আন্ডাররেটেড কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে অত্যাবশ্যক মাটি ছাড়া পৃথিবীর কোনো খাদ্য নিরাপত্তা থাকবে না।
বিশ্ব মাটি দিবসের ইতিহাস
সমস্ত জীবন মাটি থেকে শুরু এবং শেষ হয় সেই মাটিতেই । এটি খাদ্য, ওষুধের উৎস এবং আমাদের জলকে ফিল্টার করে। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই মাটিকে মঞ্জুর করে নেয় এবং ধরে নেয় যে এটি সর্বদা চারপাশে থাকবে। কিন্তু এটা সত্য থেকে অনেক দূরে। ০,৪ ইঞ্চি মাটি বাড়াতে ১,০০০ বছরেরও বেশি সময় লাগে।
আরও পড়ুনঃ আপনি কি জানেন কেন ৫ ডিসেম্বর বিশ্ব মাটি দিবস হিসাবে পালিত হয়
কিভাবে World Soil Day পালন করবেন
প্রতি বছর জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) বিশ্বজুড়ে যুবক এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মাটির যত্ন নেওয়ার চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করে। একটি সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি অঙ্গীকার কার্ড স্বাক্ষর করা, একটি বীজ রোপণ করা, একটি ছবি তোলা এবং এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করা জড়িত৷ সেরা ছবি FAO সামাজিক চ্যানেলে শেয়ার করা হয়. এছাড়াও, এই দিনে, রাজা ভূমিবল বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার (ডব্লিউএসডিএ) এমন ব্যক্তি বা সংস্থাকে দেওয়া হয় যারা মাটি দিবসের সেরা কার্যকলাপ বা প্রচারণা নিয়ে এসেছে। গ্লিঙ্কা ওয়ার্ল্ড সয়েল প্রাইজ হল প্রতি বছর দেওয়া আরেকটি পুরস্কার। এটি এমন একজন ব্যক্তির কাছে যায় যিনি বিশ্বের মাটি ক্ষয় সমস্যা সমাধানে নিবেদিত।
আমাদের দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩% করে বনভূমি বিনাশ হচ্ছে যা ব্যাপকভাবে ভূমি ক্ষয়ের কারণ এবং বাংলা পিডিয়ার তথ্য মতে এভাবে মৃত্তিকা ক্ষয়ের পরিমান বছরে ১০২ টন/হেক্টর। এছাড়াও বাদ যায়নি পাহাড়ি অঞ্চল, বিভিন্ন পর্যায়ের জুমচাষের মাধ্যমেও ঘটাচ্ছে মাটি ক্ষয়। বিভিন্ন বনাঞ্চল গলিকে ধ্বংস করে নির্মাণ হচ্ছে বড় বড় কলকারখানা, ইতিমধ্যে গণমাধ্যম এর মাধ্যমে জানা গেছে নির্মাণ হয়েছে বিপুল পরিমাণ ইটভাঁটা। যা মাটি ক্ষয়ের প্রধান কারণ।
আরও পড়ুনঃ আফিম চাষের আইন কি? সবাই কি চাষ করতে পারবে?
বিগত কয়েক বছরের ঝড়- ঝাপটা, জলোচ্ছ্বাসের কারণে মাটি সংরক্ষণ ও ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। কমেছে মাটির গুণগত মান।সরকারি অনুমোদন এর সাথে জোর কদমে লাগা উচিত মাটি সংরক্ষণের কাজে। কারণ মাটি সংরক্ষণ না হলে ভেঙে যেতে পারে খাদ্য শৃঙ্খল হারিয়ে যেতে পারে জীব শৃঙ্খলের সামঞ্জস্যতা।
Share your comments