কৃষক জীবানন্দ শীল নদীয়া জেলার করিমপুর ব্লকের হরেকৃষ্ণ গ্রামের এক প্রগতিশীল কৃষক। ৮ বিঘা জমিতে প্রতি বছরে পাট, মুগ এবং গম - এই তিনটি ফসল তিনি চাষ করে থাকেন। ২০১৬ সালে ১৪ ই মার্চ এই প্রান্তিক কৃষককে মুগ চাষের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কৃষক রত্ন’ সম্মান প্রদান করেন। আগামীকাল সকাল ১১.০০ ঘটিকায় কৃষি জাগরণ ওয়েস্ট বেঙ্গল পেজ থেকে এই প্রগতিশীল কৃষক, কৃষক সম্প্রদায়ের এবং সকলের উদ্দেশ্যে লাইভ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বর্তমান কৃষিতে মুগ শস্য চাষে লাভের দিশা এবং লাভজনক কৃষিকাজ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য রাখবেন। তাঁর এই গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য থেকে অন্যান্য প্রান্তিক/ক্ষুদ্র সকল কৃষকরাই নতুন কিছু তথ্য জানতে পারবেন।
আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন কৃষকরা। তারা সর্বদা কঠোর পরিশ্রম করে আমাদের খাদ্য সরবরাহ করেন। কৃষিকাজের মাধ্যমেই তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তারা চাষে লাভ তো দূরে থাক বরং লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন। সম্প্রতি যুব সমাজে ভ্রান্ত ধারণা এসেছে যে, কৃষিতে লাভ নেই। অনেক চাষী চাষ কার্য ছেড়ে অন্য জীবিকা বেছে নিচ্ছেন এবং তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও অন্য ক্ষেত্রে সংযুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করতে পারলে কৃষিও লাভজনক ক্ষেত্র এবং উৎপাদিত পণ্য বিপণন করে কৃষক প্রভূত অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অনেক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে যায়, ফলে তিনি আর্থিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন। কিন্তু তাঁদের জন্য রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের ‘বাংলা শস্য বীমা যোজনা’ এবং অন্য রাজ্যে ‘প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা’- অর্থাৎ কৃষক দেশের যে প্রান্তেরই হোক না কেন সরকার থেকে সহায়তা তিনি পাবেনই। এছাড়াও কৃষকদের জন্য রয়েছে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প, তাঁদের সহায়তায় সরকার সর্বদা তৎপর।
পরিশেষে বলা যায়, কৃষি ভারতের তথা বিশ্বের মানুষের জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক প্রযুক্তির সাথে মেলবন্ধনে আবাদ কার্য করলে সুস্থায়ী কৃষিতে রয়েছে লাভের পন্থাও, শুধু দরকার সঠিক পদ্ধতির। তাই বর্তমান কৃষকদের কৃষিকাজ ছেড়ে অন্য জীবিকায় নিযুক্ত হওয়ার পরিবর্তে মনোযোগ এবং উৎসাহ সহকারে কৃষিতে থাকলে আখেরে লাভ তাদেরই।
Share your comments