গাজর কেবল ভারতে নয়, সারা বিশ্ব জুড়েই একটি সবচেয়ে পছন্দসই সবজী। কমলা রঙের এই সবজিটি কেবল সালাড রূপেই খাওয়া হয় না, বিভিন্ন ভাবে রন্ধনে এটি ব্যবহৃত হয়। এটিকে চূড়ান্ত স্বাস্থ্যকর খাদ্য রূপে বিবেচনা করা হয়। এর উৎপাদনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, হাজার হাজার বছর আগে আফগানিস্তানে প্রথম গাজরের চাষ হয়েছিল। সেই সময় অর্থাৎ উৎপাদনের গোড়ার দিকে এর আকৃতি ছিল ক্ষুদ্র এবং এটি ছিল পেলব বর্ণের, স্বাদেও ছিল বর্তমান সময়ের থেকে ভিন্ন। তবে এটি আমাদের কাঁচা না কি রান্না করে খাওয়া উচিত? এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত এর খাওয়ার শৈলীতে এক চিরস্থায়ী বিতর্ক রয়েছে।
গাজর সমন্ধে আশ্চর্যজনক কিছু তথ্য-
- এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যানসার থেকে রক্ষা করে। এতে আছে বিটা ক্যারোটিন, যা লাঙ্গস ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়াও গাজরে রয়েছে প্রভূত পরিমাণে ক্যারোটিনয়েড, যা প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
- গাজরে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি হ্রাস রোধ করতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, গাজরের জুস রোজ পান করলে না নিয়মিত এটি খেলে মানব শরীরে ভিটামিন A বৃদ্ধি পায়। ফলে রাতকানা রোগের আক্রমণ থেকে এবং দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি থেকে মিলবে মুক্তি।
- গাজর সারা বছর পাওয়া যায়, ফলে আপনি এর জুসও সহজেই পান করতে পারবেন এবং রন্ধনের ক্ষেত্রেও বিভিন্নভাবে এটি ব্যবহার করা যায়।
সাধারণত, আমরা অনেকেই মনে করি যে, গাজর এবং বেশ কিছু শাকসবজি কাঁচা খাওয়া উচিত, নচেৎ তাদের ভিটামিন বিলুপ্ত হতে পারে। তবে, এটি সঠিক যে গাজর রন্ধন করলে তাপের ফলে তাতে উপস্থিত ভিটামিন ধ্বংস হয়ে যায়।
অনেক লোক এই বিষয়ে অবগত নন যে, বিটা ক্যারোটিন তাপ-সংবেদনশীল নয়। মূলত, স্বল্প রান্নার সময় বিটা ক্যারোটিনের আত্তীকরণ বৃদ্ধি পায়। অতএব, দীর্ঘ সময় ধরে এটি রান্না করা উচিত নয়। পাচনের সুবিধার জন্য এটিকে স্বল্প সময় রান্না করাই শ্রেয়।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments