পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসা গ্রামের এক চাষী সম্বিত ঘোষ আমন এবং বোরো মরশুমে ২৬ বিঘা জমিতে নিয়মিত ধান চাষ করে থাকেন। তিনি গোবিন্দভোগ চাষ করতে বেশি পছন্দ করেন ,কারণ এই ধানের বাজার মূল্য সাধারণ ধানের বাজার মূল্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তিনি গত বছরের আগের বছর (২০১৭-১৮) নিজের ২৬ বিঘা জমিতে খারিফ মরশুমে গোবিন্দভোগ এবং বোরো মরশুমে ২৬ বিঘা জমিতে মিনিকেট চাষ করেছিলেন। কিন্তু আশানুরূপ ফলন তিনি পাননি। তার প্রত্যাশিত ফলনে তিনি ব্যার্থ হন ।তিনি বিঘাতে ৪.৮ কুইন্ট্যাল ধানের ফলন পেয়েছিলেন। তার ফলন কম হবার দুটি কারণ ছিল । একটি ছিল গাছের অপর্যাপ্ত বৃদ্ধি, আরেকটি ছিল বিভিন্ন রোগের আক্রমণ। তিনি চিন্তান্বিত হয়ে পড়েন, কারণ একজন চাষীর কাছে তার চাষকৃত ফসলই সবকিছু, তার সমস্ত বছরের আয়।
অবশেষে তিনি তার এক স্বহৃদয় বন্ধুর কাছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর টোল ফ্রি নাম্বার ১৮০০ ৪১৯ ৮৮০০ পান। ২০১৮-১৯ বর্ষে তিনি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর টোল ফ্রি নাম্বার এ ফোন করে তার সমস্যার কথা রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর কৃষি বিশেষজ্ঞ কে বলেন। রিলাইন্স ফাউন্ডেশনে কৃষি বিশেষজ্ঞ তাকে জমি তৈরি করার আগে চুন দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং তিনি সেই পরামর্শ মত মাটিতে চুন ব্যবহার করেছিলেন। ধান লাগানোর পর, ২২ দিনের মাথায় জিঙ্ক সালফেট এবং ২৯ দিনের মাথায় ম্যাঙ্গানিজ সালফেট ব্যবহার করার পরামর্শ তাকে দেওয়া হয় । সেই চাষী ভাইয়ের ফোন নাম্বারটি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর হোয়াট্স অ্যাপে যোগ করা হয় নিয়মিত ফলো আপের জন্য। চাষী ভাই নিজের ধানের জমির ফটো সাত দিন অন্তর অন্তর দিতে থাকেন হোয়াট্স অ্যাপ গ্রুপে।
চাষী ভাই হঠাৎ একদিন আবার রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর টোল ফ্রি নাম্বার ফোন করে বলেন, যে তার ধানের জমিতে রোগ লেগেছে এবং সেই জমির ফটো তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেন। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর কৃষি বিশেষজ্ঞ ফটো দেখে বুঝতে পারে যে সেটা খোলা পচা রোগ লেগেছে এবং তিনি চাষী ভাইকে প্রোপিকোনাজল ব্যবহার করতে বলেন। চাষী ভাই রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর পরামর্শ অনুসারে সেই ওষুধ ব্যবহার করেন। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর পরামর্শ মেনে সেই চাষী শেষে বিঘাতে ৭ কুইন্ট্যাল ফলন পান। বিঘা প্রতি তার খরচ হয় ১০,৫০০ টাকা। এবং তিনি খারিফ ফসল ৩৩ টাকা আর রবির ফসল ১৮ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি করেন।
তিনি বলেন যে, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর পরামর্শ মেনে খারিফ মরশুমে তার প্রায় ৭০,০০০ টাকা এবং রবি মরশুমে প্রায় ৩০,০০০ টাকা লাভ হয়েছে।
তথ্য সূত্র
প্রদীপ পান্ডা
অনুবাদ
স্বপ্নম সেন ([email protected])
Share your comments