
এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং যারা এইডসের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার উদ্দেশ্যে বিশ্ব এইডস দিবসটি ১ লা ডিসেম্বর পালিত হয়। বিশ্ব এইডস দিবস ২০২০- এর প্রতিপাদ্য হ'ল "বিশ্ব সংহতি, অংশীদারিত্বের দায়বদ্ধতা"। বিশ্ব এইডস দিবস প্রথম ১৯৮৮ সালে পালন করা হয় এবং এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রথম আন্তর্জাতিক দিনও ছিল।
অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রোম হ'ল একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্স ভাইরাস (এইচআইভি) দ্বারা সৃষ্ট। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্থ হয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।
বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যার মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি এইডস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন।
আসুন দেখে নেওয়া যাক, কি সেই কারণ (Let's see the reason) -
১) এটি রক্ত, সিমেন, প্রি-সেমিনাল লিকুইড, ভ্যাজিনা এবং রেকটাল ফ্লুইডস এবং সংক্রামিত মহিলার বুকের দুধের মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে।
২) সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে এই মারাত্মক রোগটি অন্য ব্যক্তির দেহে সংক্রামিত হয়।
৩) সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে ইনজেকশন সূঁচ, রেজার ব্লেড, ছুরি ভাগ করে নেওয়াও এই রোগের ছড়িয়ে পড়ার কারণ হতে পারে।
এই রোগের লক্ষণগুলি হল (The symptoms of this disease are) -
১) জ্বর
২) গলা ব্যথা
৩) স্কিনে র্যাশ
৪) বমি বমি ভাব
৫) শরীরে ব্যথা
৬) মাথা ব্যথা
৭) পেটে সংক্রমণ ইত্যাদি।
প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা (Precautions) -
রোগটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয়, তবে বেশ কয়েকটি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা রয়েছে, যা এই রোগের সংক্রমণ রোধ করতে আক্রান্তদের দৈনন্দিন জীবনে গ্রহণ করতে হবে। এইচআইভি এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে যৌন মিলনের সময় সুরক্ষা ব্যবহার করা, সূঁচ, ব্লেড ইত্যাদি অন্যান্য ব্যক্তির সাথে ব্যবহার না করাই শ্রেয় এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা।
Image source - Google
Related link - জাতীয় দুগ্ধ দিবস (National Milk Day), কেন পালন করা হয় এই দিনটি, কেন দুধ পান করব আমরা, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দুধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
Share your comments