আজ বিবাহিত মহিলারা স্বামীর দীর্ঘজীবনের জন্য করওয়া চৌথ-এর ব্রত রাখছেন। প্রতি বছর, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীতে মহিলারা এই উপবাস রাখেন। এই উপবাস সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাখা হয় এবং আকাশে পূর্ণ চন্দ্রের উদয় হলে উপবাস শেষ হয়। আসুন আমরা আপনাকে এই উপবাস, উপাসনা পদ্ধতি, নিয়ম এবং শুভ সময়ের গুরুত্ব সম্পর্কে তথ্য প্রদান করি।
করওয়া চৌথ পূজা ভগবান গণেশের সাথে সম্পর্কিত। বিবাহিত জীবনের বিঘ্ন বিনাশের জন্য এই ব্রত রাখা হয়। এই দিনে গণেশ, মাতা গৌরী ও চাঁদের পূজা করা হয়। চাঁদকে সুখ এবং শান্তির একটি প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অতএব, চাঁদের উপাসনা করে মহিলারা বৈবাহিক সুখ, শান্তি ও স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
করওয়া চৌথের সময় –
করবা চৌথে উপবাসের সময় ১৫ ঘণ্টা ৫১ মিনিট। ৪ নভেম্বর ভোর ৫:২৮ মিনিট থেকে রাত ৯:১৯ মিনিট পর্যন্ত তা থাকবে। অন্যদিকে, পুজোর সময় শুরু হবে সন্ধ্যে ৬:১৩ মিনিট থেকে সন্ধ্যে ৭:১২ মিনিট পর্যন্ত।
এই সময় বৃহস্পতি এবং শনি গ্রহিত হয়, যাতে সুখ এবং সৌভাগ্য অর্জন সহজ হয়। সূর্য ও বুধও একই সরলরেখায় থাকবে। এই সময়ে পূজা করলে স্বামী এবং স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বিশ্বাস শক্তিশালী হয়। চাঁদ ও বৃহস্পতির অবস্থানও সঠিক থাকে, এতে এই সময় করা প্রার্থনা শীঘ্রই গৃহীত হয়।
ব্রত ভঙ্গের নিয়ম -
সন্ধ্যায়, মহিলারা দলবদ্ধভাবে বসেন এবং সেখানে করওয়া চৌথ কথা (কিংবদন্তি) বর্ণিত হয়। স্বামীর দীর্ঘজীবনের জন্য দেবীর কাছে প্রার্থনা করার পরে, মহিলারা চন্দ্রোদয়ের জন্য অপেক্ষা করেন।
চন্দ্র দর্শনের পরে, স্ত্রী একটি চালুনির মাধ্যমে স্বামীর মুখদর্শন করেন এবং অন্যান্য নিয়মানুসারে উপবাস ভঙ্গ করেন। এটি একটি নির্জলা উপবাস, যার অর্থ মহিলারা চাঁদ না দেখে পূজা না করা পর্যন্ত এক বিন্দু জলও পান করেন না।
Image source - Google
Related link - (Low budget bike with glamours look) পকেট ফ্রেন্ডলি দামে বাজাজ না হোন্ডা – কোন কোম্পানির বাইকে রয়েছে বেশী ফিচারস্, দেখে নিন একনজরে