জনসাধারণের উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারের অনেকগুলি প্রকল্প রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভারতীয় জনৌষধি যোজনা (PMBJK) হ'ল কেন্দ্রীয় সরকারের এরকমই একটি সস্তা ওষুধ প্রকল্প। এর আওতায় দেশের প্রতিটি জেলায় সস্তার ওষুধের দোকান খোলা হয়েছে। প্রকল্পটির বিশেষ বিষয় হ'ল এই ব্যবসা শুরু করার জন্য সরকার আড়াই লক্ষ টাকা সহায়তা করে থাকে।
আপনি যদি লকডাউনের পরে ভাল আয়ের জন্য ব্যবসা শুরু করতে চান, তবে এই সরকারী স্কিমটির সহায়তা নিতে পারেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লকডাউনের সময় জনসাধারণের ওষুধ সংগ্রহে সুবিধার জন্য, প্রধানমন্ত্রী আবারও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর উদ্যোগে কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্টিলাইজার মিনিস্টারের আওতাধীন ভারতীয় জনৌষধি কেন্দ্রগুলি (পিএমবিজেকে) হোয়াটসঅ্যাপ এবং ই-মেইলে ওষুধের অর্ডার গ্রহণ করছে। আপলোড করা প্রেসক্রিপশনের ভিত্তিতে ওষুধ রোগীদের বাড়িতে সরবরাহ করা হয়। এই পদক্ষেপ ব্যবহারকারীদের ওষুধ সহজে ক্রয়ের সুবিধার্থে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করছে। এছাড়াও, দূরবর্তী অবস্থানে ওষুধ সরবরাহের জন্য ইন্ডিয়া পোস্টের সাথে সংযুক্ত হয়ে তা সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারতী জনৌষধি প্রকল্প (PM BJK) -
-
পিএমবিজেপি-কেন্দ্রগুলি প্রধানমন্ত্রীর ভারতী জনৌষধি পরিধি প্রকল্পের অধীনে কাজ করছে।
-
বর্তমানে সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশের ৭২৬ টি জেলায় ৬৩০০ টিরও বেশি পিএমবিজেপি কেন্দ্র কাজ করছে।
-
এই ওষুধগুলি গড়ে ৫০-৯০% সস্তা।
-
২০২০ সালের এপ্রিলে সারাদেশে ৫২ কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।
লকডাউনের কারণে ওষুধ সরবরাহে যাতে বাঁধা না আসে, তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি রাজ্যের জন্য বিপিপিআই অফিসারদের একটি দল তৈরি করা হয়েছে। এই কর্মীদের জন্য আবাসিক আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এপ্রিল মাসে ৫২ কোটি টাকার বিক্রয় -
কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্টিলাইজার মিনিস্টার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, দেশে বর্তমানে প্রায়, ৩০০ টি জন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। লকডাউনের কারণে সংগ্রহ ও সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যার পরেও জনৌষধি কেন্দ্রগুলি এপ্রিল মাসে ৫২ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। এই কেন্দ্রগুলি ২০২০ সালের মার্চ মাসে ৪২ কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি করেছিল।
জনৌষধি কেন্দ্র খোলার জন্য কারা আবেদন করতে পারেন (Who can apply) -
১. যে কোনও ব্যক্তি, রোজগারবিহীন ফার্মাসিস্ট, ডাক্তার, রেজিস্টার্ড মেডিকেল প্র্যাকটিশনার এই কেন্দ্র খুলতে পারবেন।
২. এনজিও, বেসরকারী হাসপাতাল, সমিতি এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই কেন্দ্র খুলতে পারে।
৩. রাজ্য সরকার কর্তৃক মনোনীত সংস্থাগুলি এই কেন্দ্র খুলতে পারে।
প্রয়োজনীয় শর্ত -
-
রিটেল ড্রাগ সেলস-এর লাইসেন্স ঔষধি কেন্দ্রের নামে হওয়া বাঞ্ছনীয়।
-
১২০ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকানঘর থাকতে হবে।
সরকার কীভাবে সহায়তা করে -
-
জনৌষধি কেন্দ্র খোলার জন্য সরকার আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহায়তা প্রদান করে।
-
এই কেন্দ্র থেকে ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ মার্জিন দেওয়া হয়। ২০ শতাংশ মার্জিনের অর্থ হ'ল আপনি যদি মাসে ৫০ হাজার টাকার ওষুধ বিক্রি করেন, তবে আপনি সেই মাসে ১০ হাজার টাকা আয় পাবেন। এটি ছাড়াও মাসিক বিক্রিতে ১৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হয়। প্রণোদনার সর্বাধিক সীমা প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা।
-
আবেদন করতে হবে ব্যুরো অফ ফর্মা পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং অফ ইন্ডিয়া (বিপিপিআই) এর জেনারেল ম্যানেজার (এএন্ডএফ) এর নামে।
আরও পড়ুন - Petrol Pump Business – এই ব্যবসায় রয়েছে কোটি টাকা লাভের সুযোগ, জেনে নিন খুঁটিনাটি
অনলাইন আবেদনের জন্য এবং বিশদ তথ্যের জন্য নিম্নে প্রদত্ত লিঙ্কে ক্লিক করুন –
http://janaushadhi.gov.in/online_registration.aspx
আরও পড়ুন - Profitable Business - কম মূলধন বিনিয়োগে এই ব্যবসা আপনাকে দেবে অতিরিক্ত উপার্জন