পৃথিবীর মধ্যে যত ঔষধি গাছ আছে তার মধ্যে একটি হল তুলসীপাতা যা হিন্দুদের বিভিন্ন পূজা-অচর্নাতে লাগে। হিন্দুদের প্রায় প্রতিটি ঘরের উঠানের মধ্যে তুলসীমঞ্চ থাকে, সেখানে সকাল ও সন্ধে ধূপ ধুনো ও প্রদীপ জ্বালিয়ে তুলসী মঞ্চে প্রার্থনা করেন বাড়ির মহিলারা। তুলসীপাতার সায়ন্টিফিক নাম (Ocimum tenuiflorum) । শীতকালে যাদের সর্দি কাশি হয় তাদের জন্য তুলসী, মধু ও আদা এই তিনটে জিনিস মিশিয়ে খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। এখন বর্তমানে অনেক চাষীভাই তুলসী চাষ শুরু করেছেন। কারণ হিন্দুদের প্রতিদিন পূজা অর্চনা জন্য তুলসী ও ফুল বেলপাতা লাগে।
হাওড়ার মল্লিকবাজারে প্রতিদিন চাষীরা ফুল, তুলসী ও বেলপাতা বিক্রির জন্যে আসে এবং এখানে প্রতিদিন মোটামুটি হাজার হাজার টাকার ব্যবসা হয়। যাদের দাদ ও এগজিমা হয়েছে তাদের জন্য তুলসীপাতা ও সামান্য লবণ মিশ্রন করে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন চুলের স্বাস্থ্যে দইয়ের ব্যবহার
দুই তিন বৎসর হল বাজারে একটি (তুলসী ৫১) বলে লিকুইড ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। সেটি খেলে জ্বর, সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া তুলসীপাতা দিয়ে অনেক কবিরাজী ওষুধ তৈরি করা যায়। তুলসী গাছ মোটামুটি আট থেকে দশ রকমের প্রজাতির হয়। দুইটির নাম উল্লেখ করিলাম। যেমন রামতুলসী ও কৃষ্ণতুলসীপাতা। তুলসীপাতা সারাবছর খেলে শরীরে কোন রোগ জীবাণু প্রবেশ করতে পারে না। এটি বাচ্চা ও বুড়ো সকলে খেতে পারে। এটি একটি মহাওষুধ পাতা। যার কোনো তুলনা হয় না। এবং যার কোনো সাইড এফেক্ট নেই। তুলসী অনেক প্রজাতির হয় প্রতিটির কার্যকারিতা ও গুনাগুণ অপরিসীম।
- পুলক কর