সুস্বাদু, লোভনীয় লাল রঙের স্ট্রবেরী (Strawberry) এখন খুবই জনপ্রিয় একটি ফল। বর্তমানে এই স্ট্রবেরী ফলের আবাদ করে কৃষকেরা ভালো আয়ও করতে পারছেন। পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ার উপযোগি জাত যেমন থিয়েগো, সুইট চার্লি, সেলভা ইত্যাদি শীতের মরশুমে খুব ভালো চাষ হয়। স্ট্রবেরী বিশেষ যত্নের ফল, তাই এর চাষে পলিমাল্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়, রোগ পোকার থেকেও ফসলকে সুরক্ষিত রাখা যায়। আর পলিমাল্চ বলতে সিলপউলিনের সানকুলের ৩০ জি এস এম –এর পলিমাল্চ সর্বোৎকৃষ্ট, যার কোন তুলনাই হয় না। সানকুলের পলিমাল্চ ফিল্মগুলির বিশেষ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরী করা হয় যার উপরের দিকটি রুপোলী ও ভেতরের দিকটি কালো বর্ণের। বাইরের দিকের রুপোলী বর্ণ সুর্যের আলোর বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে স্ট্রবেরী গাছের সালোকসংশ্লেষের মাত্রা বাড়িয়ে গাছের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় ও ফলন অনেক বেশী পাওয়া যায়। আবার কালো রঙের ভেতরের দিকটি মাটিতে সুর্যরশ্মি প্রবেশ করতে না দেওয়ায় আগাছা একেবারেই জন্মাতে পারে না। তবে পলিমাল্চ বেডের জন্য ড্রিপ সেচ হল সর্বোৎকৃষ্ট। ড্রিপ সেচ না লাগালে ঘন ঘন অল্প পরিমান জল সেচের প্রয়োজন।
চাষ পদ্ধতি (Strawberry Cultivation method) –
ভাদ্র-আশ্বিন মাসে চারা রোপন করতে হয়। গুণ মানের লক্ষ্যে ও ভাইরাস রোগ প্রতিরোধে টিসুকালচার চারাই সর্বোৎকৃষ্ট। বিঘা প্রতি ৩২৯০ টি চারা বসাতে হয়। চারা রোপনের আগে মূল জমিতে ৪০ কুইন্টাল জৈব সার বা ২৫ কুইন্টাল কেঁচো সার, ২৫ কেজি নিম কোটেড ইউরিয়া, ৮০ কেজি সি. সু. ফসফেট, ৭৫ কেজি মিউরেট অফ পটাশ, ৫-৭ কেজি অনুখাদ্য ও কিছুটা সিলিকা বিঘা প্রতি দিয়ে বেড তৈরি করতে হবে। উঁচু বেডের মাঝের নিচু নালাগুলিতে ঘন ঘন অথচ অল্প পরামাণে জলসেচ দরকার। জানুয়ারীর মাঝামাঝি থেকে ফল পাকতে শুরু করলে প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করা হয়।
সানকুলের এই পলিমাল্চ আগাছা নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে সুসংহত উপায়ে কীট দমনে প্রভুত সাহায্য করে ফলে জৈব উপায়ে স্ট্রবেরী উৎপাদন করতে সুবিধা হয়। সম্প্রতি সানকুলের ৩০ জি এস এম –এর পলিমাল্চ (Polymulch) ব্যবহার করে উত্তর ২৪ পরগনার কৃষকবভাই আবুল বাসার স্ট্ব্রবেরী চাষ করছেন, ড্রিপ সেচ ছাড়াই। তিনি উইন্টারড্রম জাতটি লাগিয়েছেন এবং ভালো উৎপাদন ও আয়ের আশা করছেন।
Share your comments