কৃষির দেশ ভারতবর্ষ। এটা অস্বীকার করার কোনো জায়গা নেই যে ভারতীয় অর্থনিতির মূল স্তম্ভ কৃষির উপরেই দারিয়ে রয়েছে । ভারত একটি কৃষি প্রধান দেশ তাই এখানে ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদের পাশাপাশি অনেক ধরনের বাণিজ্যিক ফসলের চাষ হয় আর হওয়াটাই স্বাভাবিক । দেশি সবজি চাষ থেকে শুরু করে বিদেশি ফলস চাষ আমাদের কৃষকরা দেশের কৃষিকে এক অন্য় মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে কৃষরা এমন চাষের দিকে এগোচ্ছে যাতে তারা বেশি পরিমানে লাভ করতে পারে।
এরই প্রেক্ষিতে আজ লেবু চাষ করে সফলতার রেখা টেনেছেন একজন সফল তরুণ কৃষক অভিষেক জৈন।
অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন এই তরুণ কৃষক অভিষেক জৈন( Abhishek Jain)। রাজস্থানের (Rajasthan) ভিলওয়ারা জেলার বাসিন্দা অভিষেক। সংগ্রামগড় গ্রামে পৈতৃক জমিতে ২০০৭ সাল থেকে তিনি প্রকৃতিক উপায়ে লেবু ও পেয়ারা চাষ করছেন। অভিষেকের মতে, লেবু চাষ তার জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। আড়াই একর জমিতে লেবু (Lemon) চাষ করে তিনি বছরে তিনি প্রায় ছয় লাখ টাকা আয় করছেন। এতে তার খরচ হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা।
আরও পড়ুনঃ শসা চাষে লাভ করতে চান ? চাষ করুন এই পদ্ধতিতে । Method of cucumber cultivation
প্রথমে তিনি কখনই কৃষক হতে চাননি। তিনি আজমীর থেকে বি.কম করার পর মার্বেল ব্যবসা শুরু করেন।যখন হঠাত্ তার বাবা মারা যান। বাবার আকস্মিক মৃত্যুতে তার ব্যবসা ঠিকমতো চলতে না পারায় বাধ্য হয়ে কৃষিকাজ করতে হয়। অভিষেক কৃষিকাজ শুরু করেন এবং তিনি তার জমিতে লেবু ও পেয়ারা গাছ লাগান। প্রথমে এই কাজটি একটু কঠিন হলেও কৃষিকাজ করতে থাকলে তার মন কৃষিকাজে ঝুকে পরে এবং পরে তিনি প্রকৃতির প্রতিও প্রবল অনুরক্ত হয়ে পড়েন।
অভিষেক চাষের জন্য কোন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করেন না। নিজের তৈরি করা প্রাকৃতিক সার তিনি চাষের জন্য ব্যবহার করেন। জৈব চাষের কারণে, তারা বছরে প্রায় ২-৩ লক্ষ টাকা সাশ্রয় করে, যা আগে বাজার থেকে সার কেনার জন্য ব্যয় হত। জৈব চাষের অনেক সুবিধা রয়েছে। এতে মাটির গুণাগুণও অনেক উন্নত হয়েছে। তিনি পরিশ্রমের সাথে লেবু ও পেয়ারা চাষ করেন।
চাষের পাশাপাশি লেবুর আচার তৈরির কাজও করেন তিনি। অভিষেকের বাড়িতে সবসময় লেবুর আচার তৈরি হতো। সেই থেকে ধারণা নিয়ে তিনিও আচার তৈরি করে আচারের ব্যবসা শুরু করেন। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে শিখে তিনিও আচার তৈরি করতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে অভিষেকের আচার অনেকের পছন্দ হতে শুরু করে এবং মানুষের মধ্যে খুব বিখ্যাত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুনঃ জিরে চাষ করতে চান? জেনে নিন বিস্তারিত
২০১৬ সালে তিনি ব্যবসার উদ্দেশ্যে আচার তৈরি করেন এবং তারপর থেকে প্রতি বছর ৫০০-৭০০ কেজি পর্যন্ত আচার বিক্রি করেন। তাদের আচারের একটি ৯০০ গ্রাম বোতলের দাম ২০০ টাকা প্যাকিং এবং শিপিং এবং অন্যান্য খরচ সহ।
Share your comments