ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে অবস্থিত কাসমার ব্লকের মুরুলসুদি পঞ্চায়েতের চৌরা গ্রাম। এখানে গাঁদা ফুল শুধু খাবারেই সুবাস ছড়াচ্ছে না, সমৃদ্ধ করছে নারী কৃষকদের জীবন। লিলু দেবী সেই সব নারী কৃষকদের একজন যিনি মাত্র কয়েক মাসে গাঁদা ফুল চাষ করে তার পরিবারের জীবন বদলে দিয়েছেন।মাত্র কয়েক হাজার টাকা দিয়ে গাঁদা ফুলের চাষ শুরু করেন লিলু দেবী। চার মাস পর এক লাখ টাকার বেশি লাভ করেন।
লিলু দেবী বলেন, “রাজ্য সরকারের সহায়তায় আমি গাঁদা ফুল চাষের প্রশিক্ষণ নিয়েছি। সরকারের সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে আনা হয়েছে হাইব্রিড জাতের পাঁচ হাজার গাঁদা ফুল। গ্রাজুয়েট ছেলেসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও এ কাজে সহযোগিতা করেন। এখন ভালো আয় হচ্ছে। গত দুই বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী ধান ও টমেটো চাষে আশানুরূপ উৎপাদন না হওয়ায় কাসমার ব্লকের অন্যান্য কৃষকদের সঙ্গে লিলু দেবী হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ কৃষিতে দুবার রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার, নিজের ভাগ্য স্বর্ণাক্ষরে লিখলেন এই স্বল্প শিক্ষিতা নারী
অনেক কৃষক নতুন ফসল লাগানোর মনস্থির করেছেন। এই সময়ে, সরকার বহু-শস্য চাষ করতে মহিলাদের উদ্বুদ্ধ করেছিল। লিলুও এতে আগ্রহ দেখায় এবং পরিবারের সবাই রাজি হয়। এরপর সরকার থেকে ঋণ নিয়ে গাঁদা ফুলের চাষ শুরু করেন। এর পাশাপাশি জমিতে সরিষা ও অড়হরের মিশ্র চাষও চাষও করা হয়েছে এবং এই পরীক্ষা সফল হয়েছে। গাঁদা ফুল চাষে আয় হওয়ায় বেশ খুশি চাষিরা। বোকারো ছাড়াও তাদের ফুল রামগড়/বোকারোতে পাঠানো হয়। ব্যবসায়ীরা ফুল কিনছেন। এ ফসল চাষে ভালো লাভ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ স্বল্প বিনিয়োগে গাঁদা চাষ করে লাখ টাকা আয় করছেন এই কৃষক, জানুন তার সাফল্যের কাহিনী
মাত্র দেড় থেকে দুই টাকার গাছ থেকে তৈরি একটি মালা বাজারে সহজেই বিক্রি হয় ১০ থেকে ১২ টাকায়। উৎসবমুখর পরিবেশে একটি মালা বিক্রি হয় ২০ থেকে ২৫ টাকায়। বোকারোর জেলা প্রশাসক কুলদীপ চৌধুরী বলেছেন যে জেলার বিভিন্ন ব্লক/পঞ্চায়েতে মহিলারা গাঁদা এবং অন্যান্য ফুল চাষ করছেন। এ কারণে তারা স্বাধীন হয়ে উঠছে। এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন। জেলার অন্যান্য এলাকায়ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে ফুল চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বিহারের এই কৃষক চাষ করে আয় করছেন ১৮ লাখ
Share your comments