মাছ চাষ করে লক্ষ টাকারও বেশী আয় করছেন পশ্চিমবঙ্গের এই যুবক, জানুন তাঁর সাফল্যের কাহিনী

সি আই এফ ই থেকে মাছ চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১২ সালে বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ শুরু করেন। প্রথমে আট বিঘা জলাশয় লিজ নিয়ে রুই, কাতলা, মৃগেলের পাশাপাশি চিংড়ি, কিই, তেলাপিয়া সহ কাঁকড়া চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি ৩ বিঘা জলাশয়ে কাঁকড়া, ৬ বিঘা জলাশয়ে চিংড়ি, ৬ বিঘা জলাশয়ে বাগদা চিংড়ি ও বাকি ৩৫ বিঘা জলাশয়ে তেলাপিয়া, রুই, কাতলা ও কই মাছ চাষ করেন।

KJ Staff
KJ Staff
Fish Farmer Success Story
Crab Farming In Box (Image Credit - Google)

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার  হৃদয়পুরে বাড়ি দীপন বিশ্বাসের। ২০০৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর মধ্যমগ্রামে এপিসি কলেজ থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল  ফিস এন্ড ফিসারিজ নিয়ে পড়াশোনা শুরু  করেন। ২০১১ সালে পাশ করার পর মাছের খাদ্য ও ওষুধের ব্যবসা শুরু করেন। তারপর সি আই এফ ই থেকে মাছ চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১২ সালে বিভিন্ন  ধরনের  মাছ চাষ শুরু করেন। প্রথমে  আট বিঘা জলাশয় লিজ নিয়ে রুই, কাতলা, মৃগেলের পাশাপাশি চিংড়ি, কিই, তেলাপিয়া সহ কাঁকড়া চাষ শুরু করেন। 

কিন্তু সমস্যা  ছিল উন্নত মানের  ডিম পোনা পাওয়া নিয়ে। কারন প্রত্যন্ত  এলাকায় মাছের চারা পাওয়া কষ্টসাধ্য।

২০১৪ সালে দীপন বিশ্বাস ডিম পোনা তৈরির কাজ শুরু করেন। এরপর আর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৬ সালে ৫০ বিঘা জমি ১০ বছরের লিজ নেন। বর্তমানে তিনি ৩ বিঘা জলাশয়ে কাঁকড়া, ৬ বিঘা জলাশয়ে চিংড়ি, ৬ বিঘা জলাশয়ে বাগদা চিংড়ি ও বাকি ৩৫ বিঘা জলাশয়ে তেলাপিয়া, রুই, কাতলা ও কই মাছ চাষ করেন।

মাছ চাষে খাদ্যের পরিমাণ (Fish feed) - 

মাছ চাষে এফ সি আর হল খাদ্য রূপান্তর হার, অর্থাৎ ১ কেজি মাছ উৎপাদন করতে কত কেজি খাদ্যের প্রয়োজন হয় তার অনুপাতকেই খাদ্যে এফ সি আর মান বলা হয়। উদাহরন স্বরূপ বলা যায়, এক কেজি মাছ উৎপাদন করতে যদি ১.৫ কেজি খাদ্যের প্রয়োজন হয় তাহলে উক্ত তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে মাছের এফসিআর হবে ১ : ১.৫। খাদ্যের এফসিআর মান জানলে এক কেজি মাছের উৎপাদন খরচ কত তা অতি সহজেই অনুমান করা যায়।

কাঁকড়ার খাদ্য -

আপনি কম খরচে আপনার কাঁকড়াকে পচা মাছ, মুরগির বর্জ্য ইত্যাদি খাওয়াতে পারেন। একসাথে সব খাবার দেবেন না। পরিবর্তে দিনে দুবার দিতে পারেন। সন্ধ্যা বেলায় বেশী খাবার দিতে হয়। সঠিক সাইজের কাঁকড়াকে বাজারে বিক্রি করতে হবে। গ্রো আউট সিস্টেমে কাঁকড়া সাধারণত ৫ থেকে ৬ মাসে আর ফ্যাটেনিং সিস্টেমে কাঁকড়ার আকারের উপর নির্ভর করে বাজারে চালান করা হয়। এদেরকে খুব ভোরে আর নাহলে সন্ধ্যাবেলাতে জল থেকে তোলা উচিত। সরাসরি সূর্যের আলো থেকে এদেরকে বাঁচানো উচিত, কারন সূর্যের আলো এদের পক্ষে ভালো না।

আরও পড়ুন - দুগ্ধ ব্যবসার মাধ্যমে এই মহিলা কৃষক উপার্জন করছেন ১ কোটি টাকা

এই কৃষক কাঁকড়া চাষ করেছেন দুরকম পদ্ধতিতে । সফট সেল ও হার্ড সেল। ভিয়েতনাম থেকে বাক্স এনে জলের উপরে ভাসমান অবস্থায় চাষ করছেন সফট সেল ক্রাপ্ট আর জলের নিচে চাষ করছেন হার্ড সেল ক্রাপ্ট। একই পুকুরে জলের ওপরে ও নিচে কাঁকড়া চাষ করে নজির গড়েছেন দক্ষিণ  ২৪ পরগনার উদ্যমী যুবক দীপন বিশ্বাস।

আরও পড়ুন - উন্নত জাতের ছাগল পালন করে এই মহিলা উপার্জন করছেন লক্ষাধিক

Published On: 12 March 2021, 01:44 PM English Summary: This West Bengal farmer is earning millions by farming fish, know his success story

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters