রাজস্থানের সিরোহি জেলার বাসিন্দা নবদ্বীপ গোলেছা। তিনি কৃষিক্ষেত্রে এনেছেন এক বিপুল পরিবর্তন। যার জন্য তিনি আজ গোটা রাজস্থানে বিখ্যাত। নবদ্বীপ ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। বর্তমানে এই যুবক কৃষিখাতে লাখ টাকা উপার্জন করছেন। তিনি 2011 সালে ইংল্যান্ড থেকে আর্থিক অর্থনীতিতে এমএসসি করেন। সেখানেই তিনি বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে কাজ শুরু করেন।
কথায় আছে “ভাইয়ের মায়ের এত স্নেহ কোথায় গেলে পাবে কেহ”। এই দেশের মায়েরা সব সময় চান তাদের ঘরের ছেলে যেন ঘরে ফিরে আসে। এই যুবকের ক্ষেত্রেও তার বিপরীত হয়নি। ঘরের চাপে ২০১৩ সালে তাঁকে রাজস্থানে ফিরে আসতে হয়। প্রথমে এই যুবক একটি রিসর্ট করার কথা ভাবেন। তারপর তাঁর মাথায় আসে চাষের কথা। সেই মত তিনি যোধপুর থেকে 170 কিলোমিটার দূরে সিরোহি গ্রামে 40 একর জমি চাষ করার কথা ভাবেন। এরপর তিনি মোট ৩০ একর জমিতে বেদানা চাষ করেন। আর বাকি ১০ একর জমিতে লেবু, পেঁপে এবং কাস্টার্ড আপেল গাছ লাগাতে শুরু করেন।
আরও পড়ুনঃ জলঢাকা নদীর বালু চরে তরমুজ চাষে চাষীদের সফলতা
ডালিম চাষের জন্য প্রথমে ওই এলাকার কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন নবদ্বীপ গোলেছা। তিনি তার খামারের মাটি পরীক্ষা করে গবেষণার পর ডালিম চাষ শুরু করেন। ডালিম ফলের উৎপাদন শুরু হলে তিনি তার উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির জন্য এপেডায় নিবন্ধন করেন এবং সরাসরি তার পণ্য রপ্তানির অনুমতি পান। এখন তাঁর বেশিরভাগ পণ্য নেদারল্যান্ডে রপ্তানি করে। এ ছাড়া তিনি পেপার মালচিং পদ্ধতিতে পেঁপে চাষ করেন এবং লেবু ও ধনে চাষ করেন। তিনি জানান প্রতি বছর ফসলের জন্য প্রায় 25 লক্ষ টাকা খরচ করার পরে, তিনি আরামে 1.25 কোটি টাকা পর্যন্ত লাভ করেন।
আরও পড়ুনঃ সাদা, হলুদ, গোলাপী, মিষ্টি আলু ফলিয়ে তাক লাগালেন ময়নাগুড়ির কৃষক অজিত
Share your comments