মৌসুমী অক্ষরেখার পূর্বাংশ হিমালয়ের পাদদেশ এলাকায় উত্তরবঙ্গে অবস্থান করেছে। জলপাইগুড়ির ওপর দিয়ে অসম হয়ে তা নাগাল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্তের কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে রাজ্যে ঢুকছে প্রচুর জলীয় বাষ্প। সাথে বঙ্গোপসাগরে ক্রমেই সক্রিয় হচ্ছে নিম্নচাপ। এর প্রভাবেই আগামী রবিবার থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে আইএমডি। আগামী ২০-২২ শে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত জারি থাকবে। সপ্তাহ জুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই সপ্তাহের শেষেও রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে চলেছে।
মৎস্যজীবীদের জন্য রয়েছে সতর্কতা। আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার সন্ধে থেকে শুরু করে মঙ্গলবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের জন্য। যারা এখন সমুদ্রে রয়েছেন, রবিবার বিকেলের মধ্যে তাদের গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আশার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সকাল থেকেই আকাশ মেঘমুক্ত। তবে দক্ষিণবঙ্গের কিছু জায়গাতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক ৭৭ শতাংশ।
আগামী রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগণা, মুর্শিদাবাদ, দুই বর্ধমান, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী সপ্তাহের শুরুতেও বৃষ্টিপাত হবার সম্ভাবনা আছে। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় সোমবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
Image source - Google
Related link - নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণের এই ৭ টি জেলায় অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাত