বঙ্গোপসাগরের উপর যে নিম্নচাপ অবস্থান করছিল তা আরও শক্তি বাড়িয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। ফলে বুধবার দিনভর দুর্যোগের আশঙ্কা ৷ মঙ্গলবার রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বৃষ্টির পরিমাণও বাড়ে ৷ সঙ্গে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া ৷ বঙ্গোপসাগরের উপর যে নিম্নচাপ অবস্থান করছিল তা আরও শক্তি বাড়িয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। ফলে বুধবার দিনভর দুর্যোগের আশঙ্কা ৷
বুধবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টি ৷ কোনও বিরাম নেই ৷ দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে আগেই লাল সতর্কতা জারি করেছিল হাওয়া অফিস। বুধবারও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানানো হয়েছে। আজ, বুধবার সকাল ৬.১৮ মিনিটে গঙ্গার জলস্তর হবে ৪.৬৯ মিটার (১৫.৩৯ ফুট) ৷ লকগেট বন্ধ থাকবে ভোর ৪টে ১৫ মিনিট থেকে ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। গঙ্গার পাশের লকগেটগুলি যখন বন্ধ থাকবে তখন যদি বৃষ্টি হয় তবে শহরে জল জমবে। লকগেট খোলার পর জল দ্রুত নেমে যাবে বলেই জানানো হয়েছে ।
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রামে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া জেলায়। আজও অতি ভারী বৃষ্টি এ রাজ্যের চার জেলায় ৷ কলকাতায় দুপুরের পর কিছুটা কমবে বৃষ্টির পরিমাণ, আবহাওয়ার উন্নতি হতে শুরু করবে ৷ এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস | হলুদ সর্তকতা রয়েছে বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং কলকাতার জন্য।
আরও পড়ুন -Weather forecast: টানা দুদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, দেখে নিন কোন কোন জেলায় বৃষ্টির সংকেত
মঙ্গলবার সন্ধ্যে থেকেই কলকাতায় দমকা হাওয়া বইতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। রাতভর ভারী বৃষ্টি চলে কলকাত ও তার পার্শবর্তী অঞ্চলগুলিতে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস আজ সকালে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলিতে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। তার সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। কোথাও কোথাও ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী বুধবার বিকেলের দিকে কিছুটা হলেও বৃষ্টির তীব্রতা কমবে।
প্রসঙ্গত এই ভারী বৃষ্টির প্রভাবে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুতি রয়েছে কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের। সবমিলিয়ে তৈরি হয়েছে অন্তত ২২ টি টিম। আবহাওয়ার এই পরিস্থিতির কারণে হাওয়া অফিসের বুলেটিনে আজ ২৯ সেপ্টেম্বর মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে না করা হয়েছে। এর আগে জমা জলে বেশ কয়েকটি অনভিপ্রেত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এই শহরে।
সেই ধরনের মৃত্যু এড়াতে এবার বাড়তি সর্তকতা নিচ্ছে রাজ্য। তাছাড়া দুর্যোগের পরিণতির কথা মাথায় রেখে। আগাম খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য সামগ্রী কলকাতার বিভিন্ন বরোতে মজুত করেছে কলকাতা পুরসভা। প্রসঙ্গত উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থিত ঘূর্ণাবর্ত স্থলভাগে প্রবেশ করে গতকালই। ক্রমে তা শক্তিশালী নিম্নচাপে পরিণত হয়। পশ্চিমবঙ্গ উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে এই নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ড অভিমুখী।
আরও পড়ুন -Cyclone Gulab Update: কয়েক ঘন্টায় বদলাবে আবহাওয়া, দেখে নিন ঘূর্ণিঝড় গুলাবের গতিবিধি