আম্ফান এবং ইয়াসের ঘা এখনও দগদগে তারমধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় “মোকা”। এখনও তার আগমন ঘটেনি তবে চলছে প্রক্রিয়া। IMD’র তথ্য অনুসারে আন্দামান সাগরে শুরু হয়েছে তার প্রক্রিয়া। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর, পূর্ব -মধ্য বঙ্গোপসাগর ইতিমধ্যেই নিম্নচাপ হয়েছে। এই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পরই আগমন হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের।
ঘূর্ণিঝড়ের আগমন হলে তার নাম হবে “মোকা”। তবে এখন সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কোথায় ল্যান্ডফল হবে ঘূর্ণিঝড়ের। কোন কোন রাজ্যে এর প্রভাব পড়বে। গতিপথ কি হবে। মাথায় হাত বাংলার উপকূলের বাসিন্দাদের। আপাতত নিম্নচাপের ওপর কড়া নজর রাখছে হাওয়া অফিস। তবে সঠিক গতিপথ কি হতে চলেছে সেই নিয়ে নিশ্চয়তা খবর এখনও দিতে পারেনি হাওয়া অফিস। আপাতত আশঙ্কা করা হচ্ছে বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের দিকেই সরছে নিম্নচাপ।
আরও পড়ুনঃ Cyclone Mocha 2023: ফুঁসছে বঙ্গোপসাগর! ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, নজর রাখছে IMD
নিম্নচাপের গভীরতা বাড়লেও বাংলার আকাশে এখন মেঘের দেখা নেই। বরং বাড়ছে তাপমাত্রা। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া,ইত্যাদি জেলায় ৪১ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা। কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকাতেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি। তবে সম্প্রতি IMD আবহাওয়ার সংবাদ প্রকাশ করেছে সেই সুত্র অনুযায়ী আগামী দুদিন অর্থাৎ ৯ এবং ১০ তারিখ বঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি সঙ্গে হতে পারে ব্রজ বিদ্যুৎ। শুধু বাংলা নয় কর্ণাটক, কেরল, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা ইত্যাদি রাজ্যেও রয়েছে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আরও পড়ুনঃ ধানের সঙ্গে মাছ চাষ! দেখাচ্ছে লাভের নব দিশা
বাংলার ওপর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কতটা পড়বে সেই নিয়ে আপাতত তথ্য দেয়নি আবহাওয়া অফিস। তবে আশঙ্কা রয়েছে গতিপথ অনুযায়ী বাংলা এবং ওড়িশার ওপর এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে। তাই ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসন ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে। সাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি চলছে মাইকিং। অন্যদিকে পুরির সমুদ্রের এক অংশে লাল পতাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
News Source- IMD Twitter
Share your comments