কৃষিজাগরন ডেস্কঃ যেসব কৃষকরা এখন কালো গম চাষ করার কথা ভাবেনিন তাদের জন্য রইল আজকের এই তথ্য । দেরি না করে এখুনি পড়ুন। এক বিরল প্রজাতি গম , যার রঙ আসলে কালো, কিন্তু এই গম পিষলে এর রঙ বদলে গোলাপি বর্ণের হয়ে যায় । কিন্তু এই কালো গমের আটায় বিস্কুট বা ব্রেড তৈরি করলে তার রং পুরোই কালো হয়।
এবার আসি বিজ্ঞানের কথায়। এন্থোসায়ানিন নামক রাসায়নিক দ্রব্য যার দ্বারা রঙ কালো করা যায় । এইসব রাসায়নিক দ্রব্য নিয়ে বিজ্ঞানিরা নানা রকম গবেষনা চালাতে থাকেন । তাঁরই সাথে নিত্য নতুন জাতের বীজ উদ্ভাবন করার লক্ষ্যে বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যায়।
বিজ্ঞানীদের দ্বারা তৈরি কৃষ্ণ বর্ণের এই গমের চাষ কেবল মাত্র কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করবে না, সাথে সাথে মারাত্মক রোগের হাত থেকেও আমাদের রক্ষা করে ।
আরও পড়ুন : আফিমের জন্য কুখ্যাত ছিল এই গ্রাম, এখন সবজি চাষে সমৃদ্ধ হয়েছে, বিদেশীরাও কিনতে আসে
গবেষণায় জানা গিয়েছে ,সাধারণ গমের চেয়ে কালো গম সাধারনত বেশি পুষ্টিকর ।কালো গম দেহের রোগ প্রতিরোধ করা ক্ষমতা বাড়ায় যেমন- ক্যান্সার, সুগার, কোলেস্টরল, হৃদরোগ, স্ট্রেস ইত্যাদি। এই কালো গমের মধ্যে উচ্চ প্রোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আমাদের খাদ্যের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তাই প্রতি দিন এই কালো গমের চাহিদা বেড়েই চলছে।
আরও পড়ুন: বরবটি কি ১২মাস চাষ করা যায় ? জেনে নিন বরবটি চাষের সঠিক পদ্ধতি এবং সার প্রয়োগের প্রক্রিয়া
এই কালো গম কৃষকদের জন্য বেশি উপকারী হবে। যদি কৃষকবন্ধুরা মনে করেন তাহলে এই কালো গম চাষ করতে পারেন। কারন এই কালো গম কৃষকরা ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। অন্যদিকে তা স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো হবে ।
কালো গম সাধারণত নভেম্বর মাসে অর্থাৎ শীতের আগে বপন করা হয়। কালো গম উৎপাদন করা হয়ে থাকে প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ কুইন্টাল হয়। সাদা গমের মতোই এটি রবি মৌসুমে ফসল করা হয় ।
Share your comments