জলপাইগুড়ির বাজারে প্যাকেটবন্দি কালো চাল
শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের হোপতিয়ার ফারমার্স ক্লাবের জমিতে সুগন্ধি ধানের সঙ্গে পরীক্ষামূলক ভাবে কালো ধানের চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন ধান চাষীরা। সেই উৎপাদিত চাল এবার কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় বাজারজাত করতে নির্দিষ্ট ব্রান্ড প্যাকেটজাত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে ২৫০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রামের প্যাকেটবন্দি কালো চাল বাজারে ছাড়বে দপ্তর।
জলপাইগুড়ি জেলার কৃষকদের যৌথভাবে কালো ধান চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে দুটি ফারমার্স ক্লাবের চার বিঘা জমিতে চাষ হয়েছে। এই চালে রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বেশী থাকায় বাজারে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদন করা এই চালে লৌহের, অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণও বেশি রয়েছে। ক্যান্সার সহ বিভিন্ন দূরারোগ্য রোগের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
আগামীতে আরও বেশি ফারমার্স ক্লাবের নির্বাচিত জমিতে চাষ করা হবে এই কালো চাল। জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত কালো চাল এবার একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে জলপাইগুড়ি শহরে বৈশাখি মেলা সহ বিভিন্ন সরকারি মেলায় স্টল বসিয়ে বিক্রি করা হবে। এছাড়া শিলিগুড়ির চম্পাসারি ও মাটিগাড়া বাজারেও স্টল বসানো হবে। তবে ফারমার্স ক্লাবে পরীক্ষামূলকভাবে অল্প চাষ হওয়ায় ও পরবর্তীতে চাষের জন্য বেশি পরিমাণ ধান সিড হিসাবে রাখা হচ্ছে। বাজারে চাহিদা অনুযায়ী জোগান অনেকটাই কম রয়েছে। এই ঘাটতি পরবর্তী বছরগুলিতে পূরণ করা যাবে।
সাধারণ ধানের তুলনায় রোগপোকার সমস্যা অনেকটাই কম। বিঘা প্রতি উৎপাদন কম হলেও বাজারদর বেশি থাকায় চাষিদের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেজি প্রতি দাম ১৫০-২০০ টাকা। ফলে উৎপাদন কম হলেও লাভ বেশি থাকে।
রুনা নাথ।
Share your comments