উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: বর্তমানে ফুলকপির দাম ও চাহিদা তুঙ্গে রয়েছে। কিন্তু দাম ও চাহিদা থাকলেও বিক্রি করতে পারছেন না অধিকাংশ কৃষকেরই। আগাম ফুলকপির দাম ভালো ছিল বেশ কয়েক দিন। কিন্তু মাঝপথে দাম না থাকায় অধিকাংশ কৃষক জমিতে ফেলে রাখে।আবার অনেক কৃষক বাড়ির গরু-ছাগলকে খাওয়ায়। এখন ফুলকপি পাইকারি ও খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৪০ টাকা দরে। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির চূড়াভান্ডার ও খাগড়াবাড়ি-২ গ্রামের কয়েকজন কৃষকের জমিতে পড়ে রয়েছে ফুলকপি। পরিচর্যার অভাবে পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যায়। সেই কারণে দাম ভালো থাকলেও বিক্রি করতে পারছেন না। এই কারণেই কৃষকের দুর্বিষহ অবস্থা হয়ে পড়েছে।
একজন ফুলকপি চাষি ফলেন রায় বলেন, আগাম ফুলকপিতে কিছুটা লাভ হয়। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে সে রকম লাভ হয়নি। এক বিঘা ফুলকপি চাষ করতে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। সেই তুলনায় বাজারে ১-২ টাকা করে বিক্রি করে সংসার চালানো অচল অবস্থা হয়ে যাবে। বাজারে বিক্রি করতে গেলে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে গিয়ে কি হবে। যদি দাম ভালো না থাকে। সেই কারণেই জমিতেই ফেলে দেওয়া হয়েছে।
কৃষক লঙ্কেশ্বর রায় এবং উত্তম রায় জানান, এখন দাম থাকলেও কৃষকের উপায় নেই সেই ফুলকপি বিক্রি করার। কারণ জমিতে প্রায় দেড় বিঘা ফুলকপি রয়েছে কিন্তু পোকার আক্রমণে সেই ফুলকপি বিক্রি করার মতো নয়। পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষি কাজে আগ্রহ প্রকাশ করেছি কিন্তু এভাবে দাম না থাকায় কৃষিকাজে আগ্রহ না দেওয়াটাই ভালো।
আরেকজন চাষী ধনেশ রায় বলেন, এখন ফুলকপির দাম বাড়লেও কোনো উপায় নেই। যে ভাবে দিনের পর দিন দাম না থাকায় গরু ছাগলকে ফুলকপি খাওয়া হয়েছে। এখন তো বিক্রি করতে পারবো না। এই কারণে সাধারণ চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মাঠে মারা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ আগামী দু’বছর কৃষি পণ্যের উপর কোনও আয়কর নয়ঃ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
Share your comments