তেতুঁলের নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে না এমন মানুষ পাওয়া খুবই দুষ্কর! তেঁতুলের বৈজ্ঞানিক নাম হলো ( Tamarindus Indica ) তেঁতুল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুনে ভরা। অনেকেরই ধারণা তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বরং তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ভেষজ গুণ। তেঁতুল দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। তেঁতুল দিয়ে কবিরাজি, আয়ুর্বেদীয়, হোমিও ও অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করা হয়। পাকা তেঁতুলে মোট খনিজ পদার্থ সব ফলের চেয়ে অনেক বেশি।
তেঁতুল গাছের ব্যবহার
তেঁতুল গাছের ছাল, ফুল, পাতা, বিচি ও ফল সবই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় । তেঁতুল বীজের শাঁস পুরনো পেটের অসুখে উপকারী । তেঁতুল পাতার রস কৃমিনাশক ও চোখ ওঠা সারায় । মুখে ঘা হলে পাকা তেঁতুল জলে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ বীজ থেকে লাউ জন্মানোর সহজ উপায়, রইল বিস্তারিত
তেঁতুল চাষের সঠিক ও সহজ পদ্ধতি
তেঁতুল বীজ থেকে আবার গুটি কলমের মাধ্যমেও জন্মায় । তবে চাষের জন্য গুটি কলমই ভাল, এতে করে ভালোমানের উন্নত ফল পাওয়া যায়, আবার গাছে ফলও তাড়াতাড়ি আসে । বীজ থেকে ফল আসতে ৭-৮ বছর লাগে, আর কলম করা চারা থেকে ২ বছরের মধ্যেই ফল আসে।
তেতুঁল গাছ চাষের জন্য় মাটি তৈরি
তেঁতুল মৃদু উষ্ণ মণ্ডলীয় অঞ্চলে ভালো জন্মায়। তবে সুনিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে ভারি বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানেও তেঁতুল জন্মায় । উঁচু, উর্বর, গভীর সুনিষ্কাশিত এবং মৃদু অম্লভাবাপন্ন বেলে দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়। মিষ্টি তেঁতুলের জন্য সর্বোচ্চ ৪৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা এবং বার্ষিক ৫০০ থেকে ১৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হয়। মিষ্টি তেঁতুল সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় ১ হাজার মিটার উঁচু স্থানে জন্মায়। সাধারণত এ গাছ মৃদু অম্ল ও ক্ষারযুক্ত মাটি সহ্য করতে পারে। কিন্তু বেলে দোআঁশ মাটিতেও ভালো হয়।
আরও পড়ুনঃ কলা চাষসহ অন্যান্য ফসলে দেওয়া হচ্ছে বিশাল ভর্তুকি, নতুন উদ্যোগ উদ্যানপালন দফতরের
রোপন পদ্ধতি
চারা রোপণ করার আগে গর্তে গোবর সার ৫-১০ কেজি, টিএসপি ১০০ গ্রাম, পটাস ১০০ গ্রাম, শরিষার খৈল ২৫০ গ্রাম মিশিয়ে ১৫-২০ দিন পঁচিয়ে তারপর চারা রোপণ করতে হয়।
Share your comments