উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: উত্তরবঙ্গে ড্রাগন ফল চাষের উৎসাহ বাড়ছে। দিন দিন চাহিদা বাড়ায় এগিয়ে এসেছে উত্তরবঙ্গের চাষিরা। ড্রাগন ফলের চাষ করে তাক লাগালেন জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির একজন চাষী অজিত সরকার। তিনি মূলত টিভি চ্যানেলে ড্রাগন চাষের খবর দেখে ড্রাগন চাষের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ হয়।
এরপর তিনি বাংলাদেশের কৃষকদের সাথে যোগাযোগ করে সেখানেই প্রশিক্ষণ নিয়ে তার বাড়ির দুই বিঘা জমি তে কয়েক প্রজাতির ড্রাগনের চারা গাছ নিয়ে এসে লাগায়। এর আগে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে মিশ্র চাষ করে শেখানো সাফল্য অর্জন করতে পেরেছেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ড্রাগন ফলের চারা সংগ্রহ করে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। প্রথম পর্যায়ে ড্রাগন ফল চাষ করতে তার দুই লক্ষ টাকা খরচ হয়।
তিনি দ্বিতীয় বছরে ৩-৪ লক্ষ টাকা আয় করে সাফল্য অর্জন করেন। ইতিমধ্যেই তিনি ছয়বার ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন। বর্তমানে তার দু-বিঘা জমিতে ৪-৫ প্রজাতির ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে বলে জানান। দুই বিঘা জমিতে ২৫০ পিলার রয়েছে। প্রতিটি পিলারে ৪-৫ টা করে ড্রাগন ফলের চারা লাগানো হয়েছে। এছাড়াও তিনি আগ্রহী কৃষকদের জন্য ড্রাগন ফলের চারা গাছের ঘাটতি মেটাতে কয়েক প্রজাতির ড্রাগন ফলের চারা বিক্রির জন্য উপযোগী করতে সক্ষম হয়। ইতিমধ্যেই তিনি তিনজন কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এখন তারাও স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে জানান।
আরও পড়ুনঃ পাত্রে সহজেই চাষ করুন ড্রাগন ফল, জেনে নিন সম্পূর্ণ পদ্ধতি
ময়নাগুড়ির ড্রাগন চাষী অজিত সরকার বলেন, ৪-৫ প্রজাতির ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে দুই বিঘা জমিতে। মূলত এখানে বিএড, আফ্রিকান, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ এবং ভারতবর্ষের দুই প্রজাতির ড্রাগন গাছ রয়েছে। ড্রাগন ফলের চাষ করে ভালো মুনাফা পাওয়া যায়। কিন্তু প্রথম দিকে ভালো অর্থ ব্যয় করতে হয়। কিন্তু গাছের বয়স যত বাড়বে তত ফলনের মাত্রা বাড়বে। একটি ফল প্রায় ২৫০ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। বাড়ি থেকেই ব্যবসায়ীরা এই ফল সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। যদিও এক একটি ফল ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
আরও পড়ুনঃ সোনায় মোড়া ২০ হাজার টাকার জিলিপি! স্বাদ নেবেন নাকি?
Share your comments