কৃষকরা এই ঔষধি গাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন, তথ্যের জন্য সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়ুন!

বাণিজ্যিকভাবে ঔষধি গাছের চাষ কৃষকদের জন্য সবচেয়ে লাভজনক কৃষি ব্য়বসার একটি....

Saikat Majumder
Saikat Majumder
ঔষধি গাছের চাষ

বাণিজ্যিকভাবে ঔষধি গাছের চাষ কৃষকদের জন্য সবচেয়ে লাভজনক কৃষি ব্য়বসার একটি। যদি কোন চাষীর পর্যাপ্ত জমি থাকে এবং ভেষজ সম্পর্কে জ্ঞান থাকে তাহলে সে খুব কম বিনিয়োগে ভারতে ভাল টাকা আয় করতে পরবেন। আর আজ আমরা এমনই কিছু ঔষধি গাছের কথা বলব, যেগুলোর চাষ করলে আপনি অর্থিক দিক থেকে অধিক লাভবান হতে হবেন।

প্রকৃতপক্ষে, ব্যয়বহুল চিকিত্সা এবং ওষুধের কারণে, ঔষধি উদ্ভিদ ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও, মহামারীর সময়ে, সারা বিশ্ব আবারও ঔষধি গাছের মূল্য বুঝতে পেরেছে। এসব গাছের মধ্যে এমন গুণ লুকিয়ে আছে, যা কেউ কখনো উপেক্ষা করতে পারে না। প্রতিদিন এটি খেলে মানুষের অর্ধেকেরও বেশি রোগ দূর হয়।

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা সম্ভবত বিশ্বের প্রাচীনতম পরিচিত ঔষধি উদ্ভিদ। অনেক লোক এটিকে বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে লাগায়। কেউ কেউ অ্যালোভেরার জুস খেতে পছন্দ করেন, আবার কেউ কেউ ত্বক ও চুলে অ্যালোভেরা লাগান। 

আরও পড়ুনঃ পশুধন মেলা: শুরু হয়েছে উন্নত জাতের পশুর সমাগম

প্রসাধনী এবং ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পেও, এই উদ্ভিদটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। অ্যালোভেরার নির্যাস একটি চমৎকার ত্বক নিরাময়কারী। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের আঘাত, পোড়া, ত্বকের জ্বালা, কাটা এবং পোকামাকড়ের কামড় থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি ত্বকের প্রদাহও কমায়।

ধনে 

ধনে গাছকে সুস্থ রাখতে জল দেওয়া এবং সার দেওয়া প্রয়োজন। ধনে পাতায় ভিটামিন সি, কে, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, পটাশিয়াম, থায়ামিন, ফসফরাস, নিয়াসিন এবং ক্যারোটিন রয়েছে। ধনে পাতা ইনসুলিন নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়। এছাড়াও, এটি আলঝেইমার রোগের চিকিৎসা করে, প্রদাহজনিত রোগ কমায় এবং মুখের আলসার নিরাময় করে।

কারি পাতা

কারি পাতা আরেকটি ভারতীয় মশলা। টেম্পারিংয়ের জন্য বিভিন্ন খাবারে কারি পাতা বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।কারিপাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে, আমাশয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা করে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো, ক্ষত এবং কাটা নিরাময় করে, ভালো দৃষ্টি দেয়, বমি বমি ভাব দূর করে এবং এমনকি স্মৃতিশক্তিও উন্নত করে।

পুদিনা 

পুদিনা গাছগুলি আর্দ্র মাটি, উষ্ণ তাপমাত্রা এবং আংশিক থেকে উজ্জ্বল সূর্যালোক পছন্দ করে। পুদিনা গাছগুলি তাদের শীতল অনুভূতির জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। পুদিনা তাজা বা শুকনো উভয় ধরনের খাবারেই গার্নিশ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।পুদিনা চাটনি ভারতীয়দের মধ্যে খুব বিখ্যাত। পুদিনা ভিটামিন এ, ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট এবং আয়রনের একটি বড় উৎস।

আরও পড়ুনঃ রেশন কার্ডে নতুন সদস্যের নাম যোগ করতে চান, তাহলে এখানে জেনে নিন পদ্ধতি

তুলসী 

তুলসী গাছ যে কোন ভারতীয় পরিবারে সহজেই পাওয়া যায়।এটি এমন একটি প্রথা যা ধর্মীয়ভাবে বংশপরম্পরায় অনুসরণ করা হয়েছে। প্রাচীনরা তুলসীর নিরাময় বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতেন। এভাবে ঘরে তুলসী লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।বহু শতাব্দী ধরে, তুলসী উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে, হাঁপানি, মাথাব্যথা, সর্দি, কাশি, বদহজম, সাইনোসাইটিস, গ্যাস্ট্রিক ডিজঅর্ডার, ক্র্যাম্প, আলসার ইত্যাদির চিকিৎসায় একটি শক্তিশালী এজেন্ট।

Published On: 26 February 2022, 12:59 PM English Summary: Farmers can earn millions of rupees from this medicinal plant, read the full article for information!

Like this article?

Hey! I am Saikat Majumder. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters