গত বছরের হোলি মৌসুমের মতো এবারও পালং শাক, লাল শাক, হলুদ, ভেষজ ও ফুল দিয়ে তৈরি ভেষজ আবির বাজারের অন্যান্য আবিরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা দেবে। জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশনের (বিহান) মহিলারা হোলি উৎসবকে সামনে রেখে ভেষজ রং তৈরিতে ব্যস্ত। লক্ষণীয় বিষয় হল, ফুলের রং ও সুগন্ধ থেকে তৈরি ভেষজ আবির মুখ, ত্বক ইত্যাদিতে লাগালে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না । এতে কোনো ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না।
এই কারণেই পুরো রাজ্য এবং স্থানীয় বাজারে হার্বাল রং এর চাহিদা বাড়ছে। এ কারণে বিহানের নারীরা ঘরে বসেই কর্মসংস্থান করছেন এবং উপার্জন করছেন। মহাসমুন্দ জেলার ডোগারপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের জয় মাতা দি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাও ভেষজ আবির তৈরিতে নিযুক্ত রয়েছেন। দলের সদস্য অম্বিকা সাহু জানান, গত বছর হোলির জন্য ৫০ কেজি হারবাল আবির তৈরি করা হয়েছিল, যার চাহিদা ছিল প্রচুর। তিনি জানান, ভেষজ আবিরের প্যাকেটের দাম ১০, ২০ ও ৫০ টাকা। এবার ভেষজ আবির তৈরি হচ্ছে বেশি পরিমাণে। প্রসেসিং ইউনিটে পালং শাক, লাল ভাজি, হলুদ, ভেষজ, ভেষজ ও ফুলের পাতা শুকিয়ে পিষে এই ভেষজ আবির তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুনঃ বাজরার তৈরি খাবার এবার মিড-ডে মিলে, কৃষকদের ক্ষমতায়নের চেষ্টা
বিট, হলুদ, আম এবং পেয়ারার সবুজ পাতাও গোলাপ, গাঁদা, কালি ফুলের সাথে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এক কেজি ভেষজ আবির তৈরিতে খরচ হচ্ছে প্রায় দেড়শ টাকা। এই মহিলারা রং তৈরিতে পালং শাক, বিটরুট, সিঁদুর ইত্যাদি ব্যবহার করেন। বাজারে পাওয়া রাসায়নিক রঙের চেয়ে হারবাল আবিরের দাম কম। ভেষজ আবির তৈরি করে নারীদের বাড়তি কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আয়ও করছেন।
আরও পড়ুনঃ জৈব সার তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন বিহারের মহিলারা,জেনে নিন বিশেষত্ব
Share your comments