Organic Manure – সহজ পদ্ধতিতে কীভাবে বানাবেন জৈব সার, রইল খুঁটিনাটি

জৈব চাষে রাসায়নিক পদার্থ (বিশেষত: কৃষিবিষ) ব্যবহার করা হয় না। আমাদের পূর্বপুরুষেরা যে সনাতন পদ্ধতিতে চাষবাস করতেন তা ছিল সম্পূর্ণভাবে জৈব উপাদান নির্ভর। বর্তমানে অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরতা ও উৎপাদনশীলতা ক্রমশই হ্রাস পেতে চলেছে।

KJ Staff
KJ Staff
Organic farming
Sustainable Agriculture (Image Credit- Google)

সুস্থির কৃষির লক্ষ্যই হল জৈব কৃষি। জৈব চাষে কোন রাসায়নিকপদার্থ (বিশেষত: কৃষিবিষ) ব্যবহার করা হয় না। আমাদের পূর্বপুরুষেরা যে সনাতন পদ্ধতিতে চাষবাস করতেন তা ছিল সম্পূর্ণভাবে জৈব উপাদান নির্ভর।

বর্তমানে অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরতা ও উৎপাদনশীলতা ক্রমশই হ্রাস পেতে চলেছে । এর ফলে রোগ পোকার আক্রমণ যেমন বাড়ছে তেমনই ফসল তার নিজস্ব স্বাদ-গন্ধ হারাচ্ছে। তাই জৈব কৃষির লক্ষ্য হল মাটির জৈব পদার্থ বাড়ানো, উৎপাদিত ফসলের উৎকর্ষতা ও খাদ্যগুণ ধরে রাখা, খাদ্য ও জলে কৃষিবিষের অবশেষ কমানো, কৃষকের সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও কৃষি খরচ কমানো। সংরক্ষনশীল ও সুস্থির কৃষিই হল জৈব চাষের লক্ষ্য।

বিভিন্ন প্রকার জৈব সারের প্রস্তুত প্রণালী (Preparation of different types of organic fertilizers) :

খামার জাত সার (Farm Yard Manure) : 

কৃষি খামারের বিভিন্ন প্রকার পশুপাখির মলমূত্র ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থগুলি একত্রে  মিশিয়ে  ও পচিয়ে যে সার প্রস্তুত করা হয়, তাকে খামারজাত সার বলে। 

  • প্রস্তুত প্রণালী : গোয়ালের কাছাকাছি  উচু স্থানে একটি ৩ মিটার × ১.৫ মিটার × ১ মিটার আয়তনের গর্ত খুঁড়তে হবে। এরপর গর্তটিকে সমান চারভাগে ভাগ করে দিতে হবে। এরপর গর্তটিকে সমান চারভাগে ভাগ করে খামারের আবর্জনা ও পশুপাখির মলমূত্র যেকোন একটি অংশে ফেলে যেতে হবে। মাঝে মাঝে গোমূত্র ও জল ছিটিয়ে ৪০-৫০ শতাংশ  আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় খামারজাত সার তৈরি করতে প্রায় তিনমাস সময় লাগে। এই সারের সঙ্গে গর্ত পিছু ৩০-৪০ কিগ্রা সিঙ্গল সুপার ফসফেট মিশিয়ে দিলে সারের গুণাগুণ ও সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

কম্পোষ্ট বা আবর্জনাসার :

বিভিন্ন প্রকার নরম ও সবুজ আগাছা, ফসলের অবশিষ্টাংশ,গাছের ঝরাপাতা, তরিতরকারি, খড়কুটো, কচুরিপানা  প্রভৃতি একত্রে মিশিয়ে পচিয়ে যে ধূসর বর্ণের সার তৈরি হয় তাকে কম্পোস্ট সার বলে। কম্পোস্ট সার তৈরির সময় সারের মান উন্নত করার জন্য সাধারণত সিঙ্গল সুপার ফসফেট প্রয়োগ করতে হয়। সাধারণত ৩ মিটার × ১.৫ মিটার × ১মিটার আয়তনের গর্তে ৬০ কেজি সিঙ্গল সুপার ফসফেট প্রয়োগ করা যেতে পারে।

কেঁচোসার : 

একটি বড়ো কেঁচো তার শরীরের ওজনের সমপরিমাণ জৈব পদার্থ খেয়ে থাকে। কেঁচোর পৌষ্টিকনালীর মধ্যে বসবাসকারী অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া ও অ্যাকটিনোমাইসিটিস জৈব পদার্থকে দ্রুত ভেঙ্গে উদ্ভিদের গ্রহণযোগ্য অবস্থায় নিয়ে আসে।

প্রস্তুত প্রণালী : কেঁচোসার তৈরির জন্য ছায়াযুক্ত উঁচু জায়গার প্রয়োজন হয়। সাধারণত ২ মিটার * ১মিটার * ১ মিটার গভীর গর্ত করা হয়। একে ভার্মি বেড বলে। গর্তের তলায় পাথরকুঁচি, ভাঙা ইঁটের টুকরো বা বালি বিছিয়ে ১৫-২০ সেমি দোঁয়াশ মাটির আস্থরণ দিয়ে ১০০-১৫০ টি কেঁচো ছেড়ে দেওয়া হয়। এর উপর ৫-১০সেমি উঁচু গোবর ছড়িয়ে তার উপর ১০ সেমি শুকনো পাতা, ফসলের অবশিষ্টাংশ, খড় প্রভৃতি দেওয়া হয়। এই ভাবে ৩-৪ দিন অন্তর অর্ধপচিত খামারের আবর্জনা, সবুজ পাতা, ফসলের অবশিষ্টাংশ, ডালপালা, সবজির খোসা প্রভৃতি ৫ সেমি পুরু স্তর দেওয়া হয় যতক্ষননা ভর্তি হয়। ভার্মিবেডের উপর পুরানো চটের বস্তা চাপা দিয়ে প্রতিদিন মাঝে মাঝে জল ছিটিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন - Organic Farming in Bangladesh: বাংলাদেশে বাড়ছে জৈব কৃষিকাজের গুরুত্ব

ভার্মিবেডের সারের রঙ কালচে বাদামী হলে জল ছিটানো বন্ধ করতে হবে। প্রায় ৬ সপ্তাহে কেঁচোসার তৈরি হয়। সাধারনত এই ধরনের ভার্মিবেডে ১০-৮০ হাজার কেঁচো ও মাসে ১০ কুইন্টাল কেঁচোসার তৈরি হতে পারে। কেঁচোসারের প্রয়োগমাত্রা হচ্ছে ২ মে. টন প্রতি হেক্টরে(সেচসেবিত অঞ্চলে), বৃষ্টিনির্ভরচাষে ০.৭৫-১.০০ টন এবং খরা প্রবণ এলাকায় ০.২৫-০.৩০ টন।

আরও পড়ুন - Fenugreek Cultivation - সহজ পদ্ধতিতে মেথি চাষ করে আয় করুন প্রচুর মুনাফা

Published On: 26 June 2021, 06:17 PM English Summary: How to make organic fertilizer in a simple way, the details remain

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters