মালচিং পেপার পদ্ধতিতে সবজি চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকেরা। অধিক লাভজনক হওয়ায় এ পদ্ধতি বেছে নিচ্ছেন অনেক কৃষক।
দক্ষিন দিনাজপুর জেলার এক গ্রামে দেখা যায়, মালচিং পেপার পদ্ধতিতে টমেটো, বেগুন ও ক্যাপসিকাম চাষ করা হয়েছে । বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়ায় এবং উৎপাদন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা দিন দিন মালচিং পেপার পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছেন।
জমির মাঝখানে দুই পাশ থেকে কেটে দেড় ফুট চওড়া করে ও ৮-১২ ইঞ্চি পরিমাণ উঁচু করে মাটির সঙ্গে সার মিশিয়ে বেড তৈরি করা হয়। তৈরি বেডগুলো মালচিং পেপার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। প্লাস্টিকের মালচিং পেপারের কালো রঙের দিকটা থাকে নিচের দিকে আর রুপালি রঙের দিকটা থাকে ওপরের দিকে অর্থাৎ সূর্যের দিকে।
আরও পড়ুনঃ ভিয়েতনাম থেকে আসছে লাল কাঁঠাল,চাহিদা বাড়ছে ধীরে ধীরে, আজই শিখে নিন চাষ পদ্ধতি
এ পদ্ধতি সূর্যের আলো ও তাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে মাটিকে রাখে ফসলের উপযোগী। পরে মালচিং পেপারের দুই পাশে নির্দিষ্ট দূরত্বে গোল গোল করে কেটে নেওয়া হয়। আর এরপর কেটে নেওয়া জায়গায় রোপণ করা হয় বীজ বা চারা। এরপর তিন ফুট উঁচুতে বাঁশ ও সুতা দিয়ে তৈরি করা হয় মাচা।
আরও পড়ুনঃ লেবু চাষে লাখ লাখ লাভ, চাষ করা খুব সহজ
পদ্ধতিটি তৈরিতে শুরুতে একসঙ্গে কিছুটা খরচ বেশি হলেও পরবর্তীকালে খরচ খুবই কমে যায়। এ ছাড়া এই পদ্ধতিতে আগাছা হয় না বলে তা পরিষ্কারের কোনো ঝামেলা নেই। দফায় দফায় সার দেওয়ারও ঝামেলাও নেই। আর গাছ দীর্ঘজীবী হওয়ায় উৎপাদন হয় দীর্ঘসময় ধরে। ফলে অতিরিক্ত উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করে আশানুরূপ লাভ পাচ্ছেন কৃষক। মালচিং পেপার পদ্ধতি গ্রহণ করে খুশি উপজেলার কৃষকেরা।
Share your comments