ছোট অবস্থায় সুপারি গাছ তীব্র বাতাস এবং প্রখর সূর্যালোক সহ্য করতে পারে না। কাজেই সুপারির চারা মাঠে লাগানোর পূর্বেই ছায়া প্রদানকারী গাছ রোপণ করতে হবে। সুপারির চারা সাধারণত মাদা তৈরি করে লাগানো হয়। মাদার আকার ৭০ সেমি. x ৭০ সেমি. x ৭০ সেমি হলে ভালো হয়। মাদা তৈরি করার সময় উপরের মাটি একদিকে এবং নিচের মাটি অন্যদিকে আলাদা করে রাখতে হবে। গর্তের ভেতরটা শুকনো পাতা, খড় এসব দিয়ে ভরাট করে আগুনে পুড়িয়ে দিলে গর্তটা শোধন হয়ে যাবে।
প্রতিটি গর্তের জন্যে ১০ কেজি পচা গোবর বা কম্পোস্ট এবং ১ কেজি খৈল গর্তের উপরের অর্ধেক মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে গর্তের তিন-চতুর্থাংশ ঐ মাটি দ্বারা ভরে ফেলতে হবে। সাধারণত মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চারা রোপণ করা যায়। তবে জুন-জুলাই মাস চারা রোপণের জন্য উত্তম। মাদার দূরত্ব অর্থাৎ চারার দূরত্ব বর্গাকার পদ্ধতিতে ৪ হাত এবং আয়াতাকার পদ্ধতিতে লাইন থেকে লাইন ৮ হাত এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৪ হাত।
আরও পড়ুুনঃ এবার গরমকালেও ফলবে টমেট,অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন বাংলাদেশের গবেষকরা
সুপারি চাষে অর্ন্তবর্তীকালীন পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিন পদ্ধতি
চারা রোপণের পর বিভিন্ন ধরনের অর্ন্তবর্তীকালীন পরিচর্যা প্রয়োজন। যেমনঃ
সুপারি চাষে আগাছা পরিষ্কার করবেন যেভাবে
-
গাছের গোড়া সব সময়ই আগাছামুক্ত রাখা প্রয়োজন।
-
বর্ষাকালে আগাছা বেশি হয় বিধায় ঘন ঘন আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
-
সার ও সেচ দেয়ার আগে অবশ্যই আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ রেশম চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন এই গ্রামের ১৩০টি পরিবার
জেনে নিন সুপারির মালচিং পদ্ধতি
-
মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য মালচিং একান্ত প্রয়োজন।
-
মালচিং দ্রব্য হিসেবে কুচরীপানা, খড় সব ব্যবহার করা যায়।
-
সাধারণত সার প্রয়োগের পর সেচ প্রদান করে মালচিং করতে হয়।
ভাল ফলন পেতে গাছের গোড়ায় মাটি তুলে দিতে হবে
-
গাছের বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর গোড়ায় মাটি তুলে দিতে হবে।
-
সেচ ও সার প্রয়োগ এবং বৃষ্টিপাতের ফলে গাছের গোড়ার মাটি সরে যায় এবং শিকড় বের হয়ে পড়ে। এজন্যই গোড়ায় মাটি তুলে দিতে হয়।
-
এছাড়াও গাছের গোড়ায় জলাবদ্ধতা এড়াতে মাটি তুলে দেওয়া প্রয়োজন।
Share your comments