
আমাদের রাজ্যে আলু চাষের জন্য প্রতিবছর 70-75 মেট্রিক টন বীজআলুর প্রয়োজন । রাজ্যে যে পরিমাণ বীজআলু উৎপন্ন হয় তা মোট চাহিদা মেটাতে অক্ষম।তাই অন্যান্য রাজ্যের আলুর মান সম্বন্ধে কিছু না জেনেও বীজ আলু হিসাবে ব্যবহার করতে হয়।
কিন্তু কৃষক ভাইরা যদি আলু চাষ করার সময় বিশেষ কয়েকটি পদক্ষেপ গুরুত্ব সহকারে মেনে চলেন তাহলে নিজেদের প্রয়োজনের বীজআলু নিজেরাই উৎপাদন করতে পারবেন এবং উৎপন্ন বীজআলুর মান সম্পর্কে নিজেরাই নিশ্চিত থাকবেন ।
বীজআলু উৎপাদন পদ্ধতি --------
(1)জমি নির্বাচন : যে জমিতে বীজআলু উৎপন্ন হবে সেটিকে ভালোভাবে এবং গভীরভাবে চাষ দিয়ে ঝুরঝুরে করে মাটিতে সমতল করতে হবে। মাটির অম্লত্ব জেনে নির্দিষ্ট মানের মধ্যে রাখতে হবে । জমিতে উপযুক্ত জল নিকাশি ব্যবস্থা থাকা দরকার ।
(2)বীজের উৎস: সরকারী স্বীকৃত সংস্থা থেকে শংসিত বীজআলু সংগ্রহ করতে হবে।
(3) জাত নির্বাচন :-
চাহিদা ভিত্তিক যে কোন জাতেরই আলুবীজ উৎপাদন করা যাবে। তবে একই জমিতে এক জাতের বীজ উৎপাদন করাই বাঞ্ছনীয় ।
(4)বীজ শোধন : আলুর বেশিরভাগ রোগ তার বীজ থেকে সংক্রমিত হয়। তাই আলুবীজ লাগানোর পূর্বে তা শোধন করে নেওয়া খুবই দরকার । বীজ আলু শোধনের জন্য ম্যাঙ্কোজেব বা মিথক্সি ইথাইল মারকিউরিক ক্লোরাইড বা ট্রাইকোডারমা ভিরিডি বা সিউডোমোনাস ফ্লুরোসেন্স এর যে কোন একটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
(5)আলু লাগানোর সময় ও পদ্ধতি : নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আলুবীজ বপন করতে হবে।বীজ আলু বপন করতে হবে
(6) সার প্রয়োগ : জমি তৈরির শেষ চাষের সময় জৈব সার প্রতি হেক্টরে 30-40টন জমিতে প্রয়োগ করা দরকার ।মাটি পরীক্ষা নিরিখে অনুখাদ্য ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে ।
(7) সেচ: -আলু বসানোর সময় মাটির রস থাকা বাঞ্ছনীয় । এর পর ঝাপটা সেচ দিলে অঙ্কুরোদগম ভালো ও একই সময় হবে ।7-8 দিন অন্তর সেচ দিতে হবে। ফসল তোলার 10 দিন পূর্বে সেচ বন্ধ করতে হবে।
(8) গাছ কটা:- ফসল তোলার 10-15দিন আগে মাটির উপরের কান্ড ফেলে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।
(9)ফসল তোলা, বছাই ও সংরক্ষণ:- সঠিক সময় ফসল মাঠ থেকে তুলে আলু বীজ বাছাই ও সংরক্ষণ পদ্ধতি অনুসারে বীজআলু হিমঘরে সংরক্ষণ করতে হবে।
Share your comments