মালদার আম বিখ্যাত হওয়ার প্রথম কারণ হচ্ছে তার স্বাদ। ভারতের অন্যান্য যে কোনো জায়গার আমের তুলনায় মালদার আম ভীষণ সুস্বাদু। বিশেষত মালদার *কাঠাল* বলে কিছু অঞ্চল রয়েছে সেই অঞ্চলের মাটির কারণে সেখানকার আম সুস্বাদু। তাছাড়া এখানকার ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু, আমগাছ হওয়ার উপযুক্ত। আর একটি কারণ হচ্ছে এখানে বেশ কিছু প্রকৃতির আম পাওয়া যাই, যেমন - লক্ষণভোগ, ন্যাঙড়া, ফজলি, হিমসাগর যা ভারতের অন্য কোনো জায়গায় পাওয়া যায় না।
মালদা জেলা আমের বানিজ্যিক রাজধানী হিসেবে দেশ ও বিদেশে বেশ খ্যাতিলাভ করেছে। কিন্তু ফল- সবজি প্রক্রিয়াজাত করণ ও প্যাকেজিং হাউস না থাকায় বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি শিকার হচ্ছেন কৃষক, ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকেরা।
আরও পড়ুনঃ বোরো ধানের ভাল ফলন নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে রাজ্য়ের কৃষকরা,চিন্তা ডিজেলের বাড়তি দাম নিয়ে
মালদহে যে সব প্রজাতির আম হয় তারমধ্যে গোপালভোগ আম মরশুমে সবচেয়ে প্রথমে বাজারে আসে। আপাতত কিছু বাগানে গোপালভোগ আম পাড়ার কাজ চললেও বেশিরভাগ আমচাষি এখনও বাজার না পাওয়ার আশঙ্কায় আম ভাঙার কাজ শুরু করেননি।
বিদেশের বাজারে চাহিদা বেড়েছে মালদার আমের। এর আগে তিন মেট্রিক টন আম পাঠানো হয়েছিল বিদেশে। মালদার আমের স্বাদে মজে আরও বরাত এসেছে বলে জানাগেছে।
একাধীক ব্যবসায়ী ও আমচাষীরা বলেন,আম বিদেশ পাঠানোর জন্য ফল-সবজি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আম প্যাকেজিং হাউস না করলে এলাকার চাষীরা বিপুল পরিমাণ টাকা ঠকে যাচ্ছেন।
এ বছর মালদহে আমের চাষ হয়েছে ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে। জেলা উদ্যানপালন দফতরের হিসেবে, এ বার মালদহে আমের ফলন হতে পারে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টন।
এখন প্রায় সব বাগানে গাছে ভর্তি আম রয়েছে। এই অবস্থায় ঝড়-বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব পড়লে প্রচুর আম ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মালদহের আমের একসময় বড়বাজার ছিল প্রতিবেশী বাংলাদেশ। কিন্তু, বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে আমদানি শুল্ক অতিমাত্রায় বৃদ্ধি হওয়ায় সে দেশে আম রপ্তানি কার্যত বন্ধ।
আরও পড়ুনঃ পেঁপে চাষঃ এভাবে পেঁপে চাষ করলে অল্প সময়ে আয় হবে কোটি টাকা
চলতি মরশুমে জেলার আমবাগানগুলিতে ব্যাপক আশার আলো দেখছেন আম চাষিরা। আবহাওয়া ঠিক থাকলে এবারও রেকর্ড ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত মৌসুমে জেলায় আম চাষ ভালো হয়েছিল। এ বছরও তার থেকে বেশি ফলন হওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন চাষিরা।
Share your comments