
নিমাটোড হল একধরনের পরজীবী কৃমি জাতীয় প্রাণী। এদের আক্রমণে ফলন অনেক কমে যায়। কৃষকেরা রোগপোকা দমনের জন্য কীটনাশক দেন কিন্তু নিমাটোড দমন করার কথা ভাবেন না। কারণ অনেকেই বুঝতে পারেননা নিমাটোডের আক্রমণ হয়েছে। কিছু কিছু লক্ষণ দেখলে সহজেই বোঝা যায় নিমাটোডের আক্রমণ হয়েছে, যেমন –
ধান গাছের উফরা রোগ ডাইটিলেনকাস অ্যাংগুসটাস নামক পরজীবী নিমাটোডের আক্রমণে হয়। এরা ধান গাছের কান্ডে আক্রমণ করে। আক্রান্ত অংশের কোষগুলি স্ফীত হয়ে পড়ে। ধানের পাতা দড়ির মত হয়ে যায়, গাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয়, গাছ ঝিমিয়ে পড়ে, থোর বের হয় না বা শিষ বেঁকে যায়, ফলন অনেক কমে যায়, কান্ডের ওপরের অংশে ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।
শিকড়ে গাঁট সৃষ্টিকারী (Melodogyme graminicola) নিমাটোডের আক্রমণে শিকড়ের মাঝে মাঝে ফুলে ওঠে ও গাঁট তৈরী হয়। পাতার ডগা শুকিয়ে আসে, গাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয় ও পাশকাঠির সংখ্যা কমে যায়।
প্রতিকার :
- গ্রীষ্মকালে চাষ দিয়ে জমি ফেলে রেখে ভালো করে রোদ খাওয়াতে হবে।
- জমি চাষ দেওয়ার আগে ধানের গোড়াগুলি পুড়িয়ে ফেলা উচিত।
- চাষ শুরু করার সময় জৈব সারের সঙ্গে বিঘা প্রতি ২ কেজি প্যাসিলোমাইসিস লিনাসিসাস জৈব নিমাটোডনাশক জমির চাষের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে।
- শস্য পর্যায়ে পাট বা গাঁদা ফুলের চাষ অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
- বীজতলা ও মূল জমিতে কার্বোফিউরান ১ – ২ কেজি প্রতি একর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
- বীজ শোধন করে বীজতলায় বীজ বোনা ও চারা শোধন করে চারা রোয়া উচিত।
- নিমখোল ১০০ কেজি প্রতি একর জমিতে প্রয়োগ।
- জমিতে সঠিক মাত্রায় N P K সার প্রয়োগ ।
- প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করা উচিত।
- রুনা নাথ
Share your comments