আফ্রিকায় ক্রস পদ্ধতির মাধ্যমে একপ্রকার নতুন চাল আবিষ্কার করা হয়েছে যার নাম New Rice Of Africa (NERICA)। এই নতুন প্রকার চালটি প্রধানত দুই জাতের চালের জেনেটিক ক্রসবিটের ফলে উৎপন্ন হয়েছে যার একটি হল ওরাইজা গ্ল্যাবেরিমা (Oriza Glaberrima) এবং অপরটি হল ওরাইজা স্যাটিভা (Oriza Sativa)। তার কারণ হ’ল এই বিভিন্ন জাতের ধান সমূহ প্রাকৃতিক ভাবে ব্রিডিং হয় না, উদ্ভিদ টিস্যু কালচারের এর এই পদ্ধতিকে বলা হয়-Embryo Rescue। এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত বীজ অনেকদিন টেঁকসই ও উচ্চফলনশীল হয়। আসলে এই বীজগুলি হেটেরোসিস প্রকৃতির। এই ধরনের ক্রসব্রিডিং বীজ থেকে যেমন উৎপাদন অনেক বেশী হয়, তেমন ফসলের বৃদ্ধিও অনেক বেশী হয় ও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও অনেক বেশী হয়।
এই বিশেষ ধরণের ধানের থেকে আর কি কি পাওয়া যাবে?
এই বিশেষ প্রকার উচ্চফলনশীল ধানের প্রতিটি গাছে ১০০ থেকে ৪০০ টি দানা উৎপাদন হয়। এই নতুন প্রজাতির বীজের ব্যাবহারের ফলে উৎপাদন হেক্টর প্রটি ১ টন থেকে ২.৫ টন পর্যন্ত হয় । যদি ঠিকঠাক সার ব্যাবহার করা যায় তবে উৎপাদন ৫ টন পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এই দানাতে প্রোটিনের পরিমাণ সাধারণ ধানের চারাতে ২% ধরণের। এই ধরণের গাছগুলি অনেকটাই বড় হয় তাই ফসল চাষের কাজে খুব সহজ হয়। এর খরা ও রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা আছে।
- প্রদীপ পাল
Share your comments