
অ্যাজোলার পুষ্টিগুণ নিম্নরূপ -
খাদ্য গুণ |
শতাংশ (শুষ্ক ওজন ভিত্তিক) |
ছাই |
১০.৫ |
অপরিশোধিত ফ্যাট |
৩.৩৬ |
অপরিশোধিত প্রোটিন |
২৩ – ৩০ |
নাইট্রোজেন |
৪ – ৫ |
ফসফরাস |
০.৫ – ০.৯ |
ম্যাগনেশিয়াম |
০.৫০ – ০.৬৫ |
ম্যাঙ্গানীজ |
০.১১ – ০.১৬ |
আয়রন |
০.০৬ – ০.২৬ |
ক্লোরোফিল |
০.৩৪ – ০.৫৫ |
দ্রবীভূত শর্করা |
৩.৪ – ৩.৪৫ |
ক্যালসিয়াম |
০.১ – ১ |
চাষ পদ্ধতি : খুব সহজেই কম খরচে অ্যাজোলা বাড়িতে চাষ করা যায় । ২.৫ মিটার লম্বা, ১.৫ মিটার চওড়া ও ০.২ মিটার গভীর গর্ত করুন । একটি ৩ মিটার লম্বা ও ২ মিটার চওড়া পলিথিন গর্তের মধ্যে পাতুন। ১৫ কেজি উর্বর মাটি পলিথিনের উপর সমানভাবে বিছিয়ে রাখুন। ১০ লিটার জলে ২ কেজি গোবর ও ৩০ গ্রাম সুপার ফসফেট ভালোভাবে মিশিয়ে পলিথিনের উপর ঢালুন। এরপর জল ঢেলে মিশ্রণের উচ্চতা ১০ সেমি করুন । এই মিশ্রণে ৫০০ গ্রাম অ্যাজোলা ছড়িয়ে দিন । অ্যাজোলার উপর সামান্য জল ছড়িয়ে দিন যেন অ্যাজোলাগুলি জলের উপর সোজা হয়ে ভেসে ওঠে । এক সপ্তাহের মধ্যে অ্যাজোলা পুরো গর্তটি ঢেকে ফেলে । গর্তটিত ৫ দিন অন্তর ১ কেজি গোবর ও ২০ গ্রাম সুপার ফসফেট ভালোভাবে মিশিয়ে দিন যেন প্রতি দিন ৬০০ - ৭৫০ গ্রাম অ্যাজোলা উৎপাদন হয়। গর্তটিতে ৭ দিন অন্তর কিছু পরিমাণ লবন মেশালে অ্যাজোলার মধ্যে খনিজ লবনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। অ্যাজোলা হালকা ছায়া পছন্দ করে তাই গর্ত সেই রকম জায়গাতেই করা প্রয়োজন ।
রুনা নাথ,
কৃষি জাগরণ।
Share your comments