কৃষিজাগরন ডেস্কঃ বীজ বাহিত রোগ। বীজতলায় চারা বের হবার পরেই রোগের আক্রমন হতে পারে। ফুল আসার সময় আক্রমন বেশি হয়। আদ্র আবহাওায় রোগ বেশি ছড়ায়। শিকড় ছাড়া ধান গাছের যে কোন অংশে এই রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এই রোগের জন্য দায়ী কচিলিওবোলাস মিয়াবিনাস (Cochliobolus miyabeanus) নামক ছত্রাক।
রোগ সনাক্তকরণ পদ্ধতি
এই রোগের সাধারন লক্ষন হল, পাতায় ছোট ছোট গোলাকার বা ডিম্বাকার বাদামী রঙের দাগ। দাগের চারদিকে একটা হলদে আভা থাকে। দাগ গুলি একসঙ্গে মিশে গিয়ে বড় ক্ষতের সৃষ্টি করে। পাতাগুলি শুকিয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত ধানের দানা চিটে হয়ে যায়। ফলনের শতকরা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ধানের ঝলসা রোগ ও তার প্রতিকার
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা
-
প্রতি কেজি বীজের সঙ্গে ১ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম ৫০% ডব্লিউ. পি (ব্যাভিস্টিন) বা ২.৫ গ্রাম ম্যানকোজেব ৭৫% ডব্লিউ. পি (ডাইথেন-এম ৪৫) মিশিয়ে বীজকে শোধন করে বপন করতে হবে।
-
নাইট্রোজেন সার বেশি মাত্রায় প্রয়োগ করা চলবে না।
-
থোড় আসা পর্যন্ত ৫ শতাংশ বা তার বেশি পাশকাঠি আক্রান্ত হলে প্রতিকার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুনঃ ভারতে ব্যবহৃত মুখ্য স্প্রেয়ারের প্রকারভেদ এবং তাদের প্রয়োগবিধি
নিচের যে কোন একটি ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার জলে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে
-
কার্বেন্ডাজিম ১২ % + ম্যানকোজেব ৬৩% (সাফ)- ১.০ গ্রাম
-
প্রপিকোনাজোল ২৫% ই. সি. (টিল্ট)- ০.৭৫ মিলি
-
কার্বেন্ডাজিম ৫০% ডব্লিউ. পি (ব্যাভিস্টিন)- ১.০ গ্রাম
Share your comments