ভূগর্ভস্থ জলে চাষ করা ধানে (বোরো ধানে) মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের প্রমাণ আগেই পাওয়া গেছে । তবে সম্প্রতি উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার গাইঘাটা, দেগঙ্গার মতো আর্সেনিক কবলিত এলাকাগুলিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বৃষ্টির জলে চাষ করা ধানেও যথেষ্ট আর্সেনিক পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুযায়ী আর্সেনিক কবলিত এলাকাগুলিতে বোরো ধানের চালে প্রতি কেজিতে ৪০০ থেকে ১৫০০ মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক পাওয়া গেছে। সেখানে বৃষ্টির জলে চাষ করা আউশ এবং আমন চালে প্রতি কেজিতে ৩০০ – ৪০০ মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মান অনুযায়ী, আর্সেনিক কবলিত এলাকা গুলিতে প্রতি কেজি চালে ১০০ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত আর্সেনিক থাকা নিরাপদ। সেখানে গাইঘাটা, দেগঙ্গার মত এলাকা গুলিতে বৃষ্টির জলে চাষ করেও প্রতি কেজি চালে ৩০০ -৪০০ মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক মেলায় উদ্বেগ বেড়েছে। দেখা যাচ্ছে বৃষ্টি কম হলে আউশ, আমন চাষের ক্ষেত্রেও অনেক সময় ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার হওয়ার ফলে আর্সেনিকের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধান চাষের সময় জমিতে জল না জমিয়ে সেচের ব্যবস্থা করলে ধানে আর্সেনিকের মাত্রা অনেকটাই কমে। তাই ‘শ্রী‘- পদ্ধতিতে ধান চাষে জোর দেওয়া হলে আর্সেনিকের মোকাবিলা করা অনেক সহজ হবে কারণ শ্রী পদ্ধতিতে জমি প্লাবিত না করে ধান চাষ করা যায় ফলে জলের প্রয়োজন অপেক্ষাকৃত কম হয়।
- রুনা নাথ
Share your comments