সামুদ্রিক শৈবালের চাষ সর্বপ্রথম শুরু হয়েছিল টোকিও উপসাগরে ১৬৪০ সালের দিকে। বাণিজ্যিকভাবে প্রথম সামুদ্রিক শৈবাল চাষ শুরু হয়েছিল ১৯৪০ সালে। মূলত ১৯৭০-এর শুরুর দিকেই শৈবালের বহুমুখী ব্যবহার যোগ্যতার কারণেই বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক শৈবালের চাহিদা সৃষ্টি হয়। আজ সামুদ্রিক শৈবালের বৈশ্বিক চাহিদা ২৬ মিলিয়ন টন।
রফতানিযোগ্য পণ্য সামুদ্রিক শৈবাল
বর্হিবিশ্বে সামুদ্রিক শৈবালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশ্বে শৈবালের প্রতি বছরে উৎপাদন প্রায় ১০ মিলিয়ন টন যার আর্থিক মূল্য ১২ বিলিয়ন ডলার। এ্যাকুয়াকালচার উৎপাদনে শৈবালের অবস্থান দ্বিতীয়। শৈবাল সম্ভাবনাময় জলজ উদ্ভিদ যার পুষ্টিমান অন্যান্য জলজ প্রজাতির চেয়ে কম নয়।
এরমধ্যে আটটি জাত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এগুলো হলো– কিউলারপা (সবুজ), এ্যানটেরোমরফা (সবুজ), গ্রেসিলারিয়া (লাল), জেলিডিয়াম (লাল), হেলিমেনিয়া (লাল), হিপনিয়া (লাল), হাইড্রোক্লাথরাস (বাদামি) এবং সারগাসাম (বাদামি)।
আরও পড়ুনঃ খড় ও মাটির তৈরি পাত্রে রাখুন ফল, ৬ মাস তাজা থাকবে
শৈবাল চাষের সুবিধা
চাষীদের জন্য অল্প বিনিয়োগের নিশ্চয়তা শৈবাল চাষকে সমপ্রসারিত করতে পারে অনেকখানি। গৃহস্থালী উপকরণ (দড়ি, বাঁশ, জার, প্লাস্টিক বয়াঃ) ব্যবহার করে চাষীরা সহজে এ চাষ পদ্ধতি শুরু করতে পারে। জোয়ার ভাটার মাঝের স্থানে অধিকাংশ শৈবাল জন্মায়। সে কারণে ভূমিহীন চাষীগণ খাস সরকারি অনাবাদি জলাভূমিতে বিনা বাধায় চাষ করতে পারবে।
শৈবাল চাষের জন্য যে বিষয়ে নজর দিতে হবে
১. বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি নির্বাচন
২. সঠিক স্থান নির্বাচন
৩. বাঁশের ফ্রেম তৈরির কৌশল
৪. শৈবাল আহরনের কৌশল
৫. শৈবাল প্রক্রিয়াজাতকরণ কৌশল।
আরও পড়ুনঃ থাই পেয়ারা চাষ করে তরুণদের পথ দেখাচ্ছেন বাংলাদেশের তরুণরা
শৈবাল চাষ পদ্ধতি
অনেকগুলো চাষযোগ্য ও বাণিজ্যিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ শৈবাল হচ্ছে Caulera racemosa, Hypnea sp, Sargassum, Spirulina । শৈবাল চাষের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। লোকজনের আনাগোনা কম ও পরিষ্কার সমুদ্রের জলে খুঁটি বসাতে হবে। তারপর খুঁটির দুপ্রান্তে দড়ি আটকিয়ে এবং বাঁশের ফ্রেম তৈরি করে তার মধ্যে জাল লাগিয়ে শৈবাল চাষ করা যায়। দড়ির ফাঁকের মাঝে শৈবাল টিস্যু নরম সুতা দিয়ে আটকিয়ে দিতে হবে যেন জলের স্রোতে ভেসে না যায়।
Share your comments