পান চাষের জন্য় গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু প্রয়োজন।পান চাষ উঁচু জমির পাশাপাশি জলাভূমিতেও চাষ করা যায়।ভাল নিষ্কাশনযুক্ত উর্বর মাটি ভাল ফসলের জন্য সর্বোত্তম। জলাবদ্ধ,লবণাক্ত ও ক্ষারীয় মাটি পান চাষের উপযোগী নয়। ল্যাটেরাইট মাটিতেও ফসল খুব ভালো জন্মায়।পান চাষের জন্য উপযুক্ত ছায়া ও সেচ প্রয়োজন।২০০ থেকে ৪৫০ সেমি পর্যন্ত বার্ষিক বৃষ্টিপাতকে সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়। পান সর্বনিম্ন ১০º এবং সর্বোচ্চ ৪০º তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে।
পান চাষ সম্পর্কে জানুন
বিশ্বে প্রায় ১০০ রকমের পান চাষ হয়।যার মধ্যে প্রায় ৪০টি ভারতে এবং ৩০টি পশ্চিমবঙ্গে চাষ হয়।সাধারনত বাংলা, মিঠা, সাচি,কর্পূরী, গ্যাচ,নাতিয়াবাসুত, উজানী, মাঘি, দেশী, বরিশাল ও ঝালি প্রভৃতি জাতের পান বরজে চাষ করা হয় । কর্পূরী এবং সাচি প্রধানত উপদ্বীপীয় ভারতে চাষ করা হলেও, বাংলা এবং দেশী সাধারণত উত্তর ভারতে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ লাভের মুখ দেখাচ্ছে বিশেষ জাতের “চেরি টমেটো”! প্রতি কেজির দাম ৬০০ টাকা
চাষের উপযুক্ত সময়
সাধারণত বর্ষাকাল বা আষাঢ় মাস চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়।বরোজের ভেতরে চারিদিকে ২৫ ইঞ্চি চওড়া রাস্তা রাখতে হয়। প্রতিটি বেড ৫০ ইঞ্চি চওড়া করে তৈরি করে নেয়া দরকার। প্রতিটি বেডে দুই লাইনে চারা রোপণ করতে হয়।একটি লাইন থেকে আরেকটি লাইনের দূরত্ব ১২-১৫ ইঞ্চি রাখতে হয়। আবার প্রতি দুই বেডের মাঝখানে ১২ ইঞ্চি নালা রাখা দরকার।
যখন গাছগুলি ৪ মিটার উচ্চতায় পৌঁছায়, তখন উচ্চতা বজায় রাখার জন্য তাদের মাচার উপরে তোলা হয়।গাছের মধ্যে ৪৫ সেমি ব্যবধান রেখে ১৮০ সেন্টিমিটার প্রস্থের সারি সারি করে গাছ রোপণ করা হয়।
সেচ
রোপণের পরপরই বা সপ্তাহে একবার জমিতে সেচ দিতে হয়।জল নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা থাকতে হবে। বেশি জল থাকলে তা বের করে দিতে হবে। লতাগুলির বৃদ্ধির উপর নির্ভর করে,প্রতি ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে পরীক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুুনঃ
বিখ্য়াত কিছু অঞ্চলের পান
পশ্চিমবঙ্গ – বাংলা, সাঁচি, মিঠা, কালী বাংলা এবং শিমুরালি।
প্যাকেজিং পদ্ধতি
ভালো পান পাতা বাছায়ের পর তা ভেজা কাপর বা কলা পাতা দিয়ে মোড়কে সাজাতে হবে। মাঝে মাঝে জল ছিটিয়ে দিতে হবে। একটি মোড়কে ১০ হাজার এর বেশি পান রাখা ঠিক নয়।
Share your comments