
কাঁচা তালের শাঁস এমন একটি ফল, যার কথা খুব কম মানুষই জানেন। সাদা জেলির মতো দেখতে এই ফলটি খেতে হালকা মিষ্টি এবং এতে প্রচুর পরিমাণে জলের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পুষ্টি।এতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে বলে গ্রীষ্মকালে এটি খেতে সকলেই পছন্দ করেন। এটি আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
তাল শাঁসে পাওয়া যায় পুষ্টি ও খনিজ
তালের শাঁসে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে। বিশেষ করে গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ জলশূন্যতা দূর করে। প্রাকৃতিকভাবে দেহকে রাখে ক্লান্তিহীন। তালে থাকা ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স আপনার পানিপানের তৃপ্তি বাড়িয়ে দেয়। খাবারে রুচি বাড়িয়ে দিতেও সহায়তা করবে। তালে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে। তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এতে রয়েছে ক্যালরি, ফ্যাট, সোডিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, চিনি, প্রোটিন, পটাসিয়াম, কপার, ভিটামিন বি৬ এবং জিঙ্ক।
স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে
তালের শাঁস আমাদের স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে এবং শারীরিক স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে। একই সাথে এটি বমিভাব আর বিস্বাদ দূর করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুনঃ পালন শাকে কোন সার প্রয়োগ করবেন? জেনে নিন চাষ পদ্ধতি
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি
তালের শাঁসে আছে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সালফার,সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মত বেশ কিছু উপকারী উপাদান। যা আমাদের চোখের জন্য অত্যান্ত উপকারী। তাই তালের শাঁস খেলে আমাদের দৃষ্টিশক্তির অনেক উন্নতি হয় এবং একই সাথে রাতকানা রোগ থেকে চিরতরে রেহাই পাওয়া যায়। এছাড়াও চোখের এলার্জি সহ অন্যান্য চোখের রোগের প্রকোপ কমাতে তালে অনেক কার্যকরী।
মানসিক রোগ প্রতিরোধ
তালের শাঁসে এমন কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে যা মানসিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। তালের শাঁস খেলে বিষণ্ণতা ও অজ্ঞান হওয়ার সমস্যা কমে যায়। এছাড়া অন্যান্য রোগ থেকেও রক্ষা করে।
আরও পড়ুনঃ লাল গাজরের চেয়ে কালো গাজর বেশি উপকারী, জেনে নিন এর উপকারিতা
তালের শাঁস খাওয়ার অসুবিধা
-
এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা হতে পারে।
-
স্তন্যদানকারী এবং গর্ভবতী মহিলাদের এটি খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
-
যাদের হজম শক্তি দুর্বল তাদের এটি খাওয়া উচিত নয়।
-
যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের এই ফল খাওয়া উচিত নয়।
Share your comments