পাটকে সোনার আঁশ বলা হয়। খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফসল পাট। ভারত সরকার পাট রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা রোজগার করে। শুধু পাট নয়, পাটজাত দ্রব্যও প্রচুর পরিমানে বিদেশে রফতানি করা হয়। ভারতবর্ষে পশ্চিমবাংলায় সর্বাধিক পাট চাষ করা হয়। অন্ততপক্ষে ২০ লক্ষ কৃষক পাট চাষ করে প্রচুর রোজগার করে।
নদীয়া জেলায় পাটবীজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বাজারগুলোতে দেশি বীজ নেই বললেই চলে। বাজার ছেয়ে গেছে নিম্নমানের পাটবীজে । চাষিরা না জেনে-না বুঝে নিম্নমানের বীজ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। কৃষকেরা ইতিমধ্যে সেচ দিয়ে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে পাটবীজ বপন করেছেন।
আরও পড়ুনঃ PM KISAN: বাংলায় কতটা সফল? 46 লাখ বাংলার কৃষক সুবিধা পাচ্ছেন?
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পেঁয়াজ, আলু ও গম কাটার পরপরই সেই জমি পাট চাষের উপযোগী বলে মনে করেন কৃষকেরা। জেলায় এবার প্রায় ১ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে বীজ লাগে ৯ কেজি ৬০০ গ্রাম।
কৃষকেরা ভারতীয় পাটবীজ পাচ্ছেন না। ৮-১০ ধরনের বাংলাদেশি বীজ বিক্রি করা হচ্ছে দোকানগুলোতে। ভালো মানের বীজ ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর নিম্নমানের বীজের দাম নেওয়া হচ্ছে আরও কম।
বাজারে গেলেই বীজের দোকানগুলোতে শুধু নিম্ন মানের পাটবীজ। দেশি বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য বাধ্য হয়ে বাংলাদেশি বীজ কিনছেন কৃষকরা । বাংলাদেশি বীজের চাহিদা বেশি থাকায় দোকানগুলোতে সে দেশের নিম্নমানের বীজও বিক্রি হচ্ছে।বাংলাদেশি বীজ ভালো মানের না হলে গাছ গজায় না। গজালেও ফলন তাতে ভালো হয় না।
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের জন্য় স্মার্ট চাষ পদ্ধতি শিখে নিলেই আয় হবে দ্বিগুন
বাংলাদেশি সব পাটবীজই নিম্নমুখী নয়। তবে নিম্নমানের কিছু বাংলাদেশি বীজ খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষকেরা প্রতারিত হতে পারেন।
Share your comments