বাড়ছে গরম। রাজ্যজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ঘরের বাইরে পা রাখা মুশকিল হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। চাঁদিফাটা রোদে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে চাষে। মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সব্জি। যার ফলে উৎপাদন কমছে ফলনে।
হুগলি জেলার বেশিরভাগ অংশ চাষের ওপর নির্ভরশীল। এই জেলার বেশিরভাগ বাসিন্দা কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। এখন এই জেলায় মাঠে হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন ফলন। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে ফসল। এত পরিমাণ জলের জোগান কোথা থেকে পাবে চাষিরা। সেই নিয়ে চিন্তায় মাথায় হাত হুগলির কৃষকদের। এছাড়াও রয়েছে পোকার উপদ্রপ। বৃষ্টি না হওয়ার ফলে একদিকে শুকিয়ে যাচ্ছে আনাজ আবার অন্যদিকে যেটুকু বেঁচে থাকছে সেগুলি খেয়ে নিচ্ছে পোকা।
আরও পড়ুনঃ হিটস্ট্রোকে মৃত্যু ১১ জনের! ১২০ জন হসপিটালে, সরকারি অনুষ্ঠানে মর্মান্তিক ঘটনা
তাই স্বাভাবিক ভাবেই ফলন কমে যাওয়ায় বাজারে আকাশ ছোঁয়া হচ্ছে সবজির দাম। বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে মধ্যবিত্তের পকেটে পড়ছে টান। সঠিক ফলনের জোগান নেই তাই বাড়ছে সবজির দাম। এরকম যদি চলতে থাকে আগামী দিনে আরও বাড়বে সবজির দাম। আবার অন্যদিকে ফলন ঠিক ঠাক না হলে মাথায় হাত পড়বে কৃষকদের। খরচের টাকাও উঠবে কিনা সেই নিয়ে ঘুম উড়ছে কৃষকমহলে।
আরও পড়ুনঃ PM KISAN: নয়া নির্দেশিকা! এই কৃষকরা ১৪ তম কিস্তির টাকা পাবেনা
ইতিমধ্যেই কৃষি দফতরের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকা। গরমের দাপট এড়াতে সময়মত সেচ এবং স্প্রে এর ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি কৃষকদের দুপুরের আগেই মাঠ থেকে বাড়ি ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকরা।
এদিকে আপাতত বাংলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। হাওয়া অফিস সুত্রের খবর এই সপ্তাহেও চলবে তীব্র গরমের দাপট। বরং আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তীব্র গরমের জন্যই ১ সপ্তাহ স্কুল এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
Share your comments