কৃষিজাগরণ ডেস্কঃ গবাদি পশুতে কৃত্রিম প্রজনন একটি পদ্ধতি যেখানে একটি সুস্থ পুরুষ পশুর বীর্য কৃত্রিমভাবে গরুর গর্ভে স্থাপন করা হয়। বীর্য বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয় এবং বহু বছর ধরে তরল নাইট্রোজেনে সংরক্ষণ করা যায়। এই জমে থাকা বীর্য নারীর জরায়ুতে রেখে তার গর্ভধারণ করা হয়। গর্ভধারণের এই প্রক্রিয়াটিকে কৃত্রিম প্রজনন বলা হয়।
কৃত্রিম গর্ভধারণের সুবিধা
প্রাকৃতিক গর্ভধারণের তুলনায় কৃত্রিম প্রজননের অনেক সুবিধা রয়েছে । কৃত্রিম প্রজননের জন্য অনেক দূরে, এমনকি অন্যান্য দেশে রাখা উন্নত জাতের পুরুষ পশুর বীর্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ দুগ্ধ ব্যবসা: দুগ্ধ খামারে 600টি নতুন উদ্যোগ, হাজার হাজার যুবক চাকরি পাবে
এই পদ্ধতিতে উন্নত গুণসম্পন্ন বৃদ্ধ বা অসহায় ষাঁড়ের পাশাপাশি উৎকৃষ্ট ও ভালো গুণসম্পন্ন ষাঁড়ও সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে একটি ষাঁড় বছরে ৬০ থেকে ৭০টি গরু বা মহিষকে গর্ভধারণ করতে পারে, যেখানে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে একটি ষাঁড়ের বীর্য দিয়ে বছরে হাজার হাজার গরু ও মহিষকে গর্ভধারণ করা যায়।
এই পদ্ধতিতে একটি ভাল ষাঁড়ের বীর্য তার মৃত্যুর পরেও ব্যবহার করা যায় এবং এই পদ্ধতিতে অর্থ ও শ্রমও বাঁচে।
আরও পড়ুনঃ পশুদের রক্তাক্ত ডায়রিয়ার লক্ষণ এবং প্রতিরোধের পদ্ধতি
এই পদ্ধতিটি প্রাণীদের প্রজনন সম্পর্কিত রেকর্ডগুলিকে একত্রিত করতে সহায়তা করে এবং এই পদ্ধতির মাধ্যমে পুরুষ থেকে মহিলা এবং মহিলা থেকে পুরুষে ছড়ানো সংক্রামক রোগগুলিও এড়ানো যায়।
কৃত্রিম গর্ভধারণের পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা
কৃত্রিম গর্ভধারণের জন্য একজন প্রশিক্ষিত পশুচিকিত্সক প্রয়োজন, যিনি স্ত্রী প্রাণীর প্রজনন অঙ্গ সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখেন।
এই পদ্ধতিতে বিশেষ সরঞ্জাম প্রয়োজন এবং আপনি যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন না নেন তবে গর্ভাবস্থায় বিলম্ব হতে পারে।
Share your comments