সুস্থ, স্বাস্থ্যবতী গাভী থেকে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে উৎপাদিত, পরিচালিত (handled) ও পরিবাহিত(transported) যে দুধের মধ্যে মানুষের ক্ষতি সাধনকারী জীবানু থাকে না এবং অন্যান্য জীবাণুর (commensal) সংখ্যা অল্পই থাকে, যে দুধ কাঁচা অবস্থাতেই দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাকেই ক্লিন মিল্ক বলে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, গাভী ও অব্যবস্থায় উৎপাদিত দুধের মধ্যে প্রচুর জীবানু থাকে যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পায় ও পান করলে রোগগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভারতবর্ষ পৃথিবীতে প্রথম দুগ্ধ উৎপাদক দেশ হিসেবে চিহ্নিত হলেও সেই দুধের মান আন্তর্জাতিক মানের নয়। উন্নত দেশগুলিতে স্বাস্থকর পরিবেশে উৎপাদিত দুধ ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা তার নীচে ঠান্ডা করে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত পাত্রে ঢাকা অবস্থায় ডেয়ারি প্লান্টে নিয়ে যাওয়া হয়। অপরদিকে আমাদের দেশের ৯০% দুধ উৎপাদিত হয় গ্রাম্য পরিনেশে ও দুধ উৎপাদনের প্রচলিত রীতিসমূহ ক্লিন মিল্ক উৎপাদনের সহায়ক নয়।
ক্লিন মিল্ক উৎপাদনের ন্যূনতম করণীয় বিষয় গুলি হল –
-
গাভী থেকে যে সমস্ত জীবাণু দুধের মধ্যে সংক্রমিত হয় ঐ সমস্ত জীবাণুঘটিত রোগমুক্ত কিনা তা পরীক্ষা দ্বারা নিশ্চিত হতে হবে।
-
গাভীর দেহ পরিষ্কার রাখতে হবে।
-
দুধ দোহনকারী ও গোপালককে সংক্রামক রোগ মুক্ত হতে হবে।
-
দুধ সংগ্রহের পাত্রসমূহ জীবাণুমুক্ত হতে হবে।
-
গাভীকে পরিষ্কার পরিবেশে পালন করতে হবে।
-
দুধ ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নীচের তাপমাত্রায় রাখতে হবে, যতক্ষণ না সেই দুধ স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে প্রস্তুত হয়ে সাধারণের ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা যায়।
- রুনা নাথ
Share your comments