গ্রামীন যুবক-যুবতীর অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে একটি সম্ভাবনাময় উপায় : গো-পালন

আমাদের রাজ্যে এমন অসংখ্য গোরু রয়েছে যেগুলির অধিকাংশই কম উৎপাদনক্ষম ও অলাভজনক। বিগত কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে অধিক দুধ উৎপাদনক্ষমসংকর গাভী আমাদের রাজ্যে সৃষ্টি হয়েছে।

KJ Staff
KJ Staff

বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে গ্রামীন বেকার যুবক যুবতী বা ভূমিহীন কৃষকদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে একটি সম্ভাবনাময় ও লাভজনক উপায় হল সংকর গো-পালন। গো-পালন প্রধানত দুধ ও দুগ্ধজাত শিল্পের জন্য, কৃষি কাজে লাঙল টানার জন্য আর জৈব সারের অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে গোবর ও গোমূত্র পাওয়া যায় গো-পালন থেকে। আমাদের রাজ্যে এমন অসংখ্য গোরু রয়েছে যেগুলির অধিকাংশই কম উৎপাদনক্ষম ও অলাভজনক। বিগত কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে অধিক দুধ উৎপাদনক্ষমসংকর গাভী আমাদের রাজ্যে সৃষ্টি হয়েছে।

দুধ উৎপাদনে সাহিওয়াল, গীর ও লাল সিন্ধি গরু উৎকৃষ্ট। রাজ্যের দেশি গরুর সাথে সংকরায়ণ পদ্ধতির মাধ্যমে আমাদের রাজ্যের গরুর মান উন্নয়ন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। বিদেশী গরু হলস্টিন বা জার্সি দৈনিক ১৫-২০ কেজি দুধ দেয়, এই দুই প্রজাতির থেকে উৎপন্ন সংকর গাই দৈনিক ৬-৭ কেজি দুধ দিতে পারে। সঠিক সংকরায়ন পদ্ধতি অবলম্বন করে চললে ৩-৫ বছরে গরুর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা ১৫-২০ কেজিতে আনা যাবে। তাই একমাত্র র্সঠিক প্রযুক্তিতে সংকরায়ন পদ্ধতিই গরুর দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে গ্রামীন যুবক যুবতী ও কৃষকদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা নিয়ে আসতে পারবে।

রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)

Published On: 06 May 2019, 01:52 PM English Summary: dairy-could-bring-rural-self-reliance

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters