কৃষি ছাড়াও, পশুপালনও ভারতের কৃষকদের জন্য একটি প্রধান ব্যবসা হয়ে উঠেছে। বর্তমানে পশুপালনের ব্যবসা শুধু ভারতেই নয় বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ পশু থেকে দুধ পাওয়া যায় এবং দুধের চাহিদা কখনোই কমে না। যাইহোক, এরই মধ্যে, প্রাণিসম্পদ খামারিদের মুখোমুখি সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল কিভাবে তাদের পশু থেকে সর্বোচ্চ দুধ উৎপাদন করা যায়।
এমন পরিস্থিতিতে আমরা আপনাকে এখানে সেরা এবং জৈব ধারণা দিতে যাচ্ছি । এই নিবন্ধে, আমরা আপনাকে এমন কিছু ঘাসের কথা বলব, যেগুলিকে পশুদের খাদ্য হিসাবে খাওয়ালে তাদের থেকে বেশি দুধ পাওয়া যায়। কারণ এটি সাধারণত দেখা যায় যে কৃষকরা প্রধানত গম, ছোলা, চাল, সিরিয়াল, ভুট্টা এবং খড়ের মতো পশুদের শুকনো পশু সরবরাহ করে। অনেক সময় শুকনো চারণ খেয়ে পশু বেশিক্ষণ দুধ দিতে পারে না। তাই এমন পরিস্থিতিতে আজ আমরা আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতির ঘাস সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যা প্রাণীদের খাওয়ানো হয়।
আরও পড়ুনঃ কর্ণাটক গাধার খামার, ভারতে দ্বিতীয় স্থানে! আয় ১৭ লাখ
এই তালিকায় প্রথম নাম বারসিম ঘাস। এই ঘাস প্রাণীদের জন্য সবচেয়ে ভাল এবং সবচেয়ে পুষ্টিকর হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ। একই সময়ে, প্রাণীরা এই সুস্বাদু ঘাস খেতে ভালোবাসে। তাই পশুপাখির হজমও ঠিক থাকে। আপনি যদি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন তবে আপনি অবশ্যই এটি থেকে উপকৃত হবেন।
এই তালিকায় আরেকটি নাম জিরকা ঘাস। বারসিম ঘাসের তুলনায় জিরকা ঘাসে কম জল লাগে বলে এই ঘাস বপন করাও সহজ। অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস এই ঘাস চাষের উপযুক্ত সময়। এছাড়াও নেপিয়ার ঘাস দেখতে আখের মতো। এটি দুগ্ধজাত প্রাণীদের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এর ফসল খুব অল্প সময়ে হয়। চাষীরা মাত্র ৫০ দিনে উৎপাদন করে। এমন পরিস্থিতিতে এটি কৃষকদের জন্যও লাভজনক।
আরও পড়ুনঃ পশুদের মধ্যে টোনেলা রোগ এবং এর প্রতিরোধ
Share your comments