একটি মাছ পরিবর্তন করে দিল একজন জেলের ভাগ্য। একটি কালো দাগযুক্ত ক্রোকার মাছ। এই মাছের জন্য মহারাষ্ট্রের এক মৎস্যজীবী ১.৩৩ কোটি টাকা পেয়েছেন। পালঘর জেলার মুরবে গ্রামের একজন মৎস্যজীবী চন্দ্রকান্ত তারে এই মাছটি ধরার জন্য জেলার ওয়াধওয়ান উপকূল থেকে প্রায় 25 নটিক্যাল মাইল দূরে গিয়েছিলেন। তিনি তার জালে এক দফায় প্রায় ১৫০টি ঘোল মাছ ধরে ফেলে। তারপরে এই মাছ উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের ব্যবসায়ীদের ১.৩৩কোটি টাকায় বিক্রি করেন। এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম Protonibea diacanthus , সবচেয়ে মূল্যবান সামুদ্রিক প্রজাতির অন্যতম। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং হংকংয়ে এর চাহিদা বেশি।
আরও পড়ুনঃ দেশিমাগুর মাছ চাষের পদ্ধতি
ঘোল মাছের এত দাম কেন?
এটি পূর্ব এশিয়ার থেরাপিউটিক সুবিধার জন্য বিবেচিত হয়। এটি আয়োডিন, ওমেগা-৩, ডিএইচএ, ইপিএ, আয়রন, টরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফ্লোরাইড এবং সেলেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ। মাছের অন্ত্রে একটি থলি আছে, যার রয়েছে দারুণ ঔষধি গুণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চ বাজারমূল্য। এই থলির কারণেই এই মাছটিকে 'সি গোল্ড' বলা হয় ।
ঘোল মাছ: স্বাস্থ্য উপকারিতা
ঘোল মাছের পাখনাগুলির থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে দাবি করা হয় এবং সিঙ্গাপুরের ওয়াইন উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়।
ঘোল মাছ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কারণ এতে বেশ কিছু ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোটিন রয়েছে যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
বলিরেখা ও বার্ধক্য রোধ করুন: ঘোল মাছের কোলাজেন বলিরেখা রোধ করতে এবং ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
শিশুর আইকিউ বাড়ায় : এতে থাকা ওমেগা-৩ উপাদান নিয়মিত খাওয়ালে শিশুদের আইকিউ উন্নত হয়। এটি মস্তিষ্কের কোষের বিস্তারকে উদ্দীপিত করে।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় জেলেদের জন্য আদর্শ ৪টি অ্যাপ! মাছ চাষ সম্পর্কিত পাবেন সমস্ত তথ্য, জেনে নিন
Share your comments