কড়কনাথ মুরগি ছানা বিলি রাজ্যের তরফ থেকে

৬০০ টাকা থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যে এই মাংস বিক্রি হয়।

KJ Staff
KJ Staff

কৃষি দপ্তর ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে কালো বর্ণের কড়কনাথ মুরগির চাষের উদ্যোগ নেওয়া হল মঙ্গলকোটে। জানা গিয়েছে, কৃষি দপ্তরের আতমা প্রকল্পে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কড়কনাথ মুরগির বেশ কয়েকটি ছানা কাটোয়ার মঙ্গলকোট এলাকার কয়েকজন উপভোক্তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে আরও বেশ কিছু উপভোক্তাকে এই প্রজাতির মুরগির ছানা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

‌মঙ্গলকোট ব্লকের কৃষি দপ্তরের এডিএ বলেন, “কড়কনাথ মুরগির মাংস খুবই উপকারী আমাদের শরীরের জন্য। এর বাজারে চাহিদাও প্রচুর। আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে এই প্রজাতির মুরগি চাষে জোর দেওয়া হচ্ছে।”

কৃষি আধিকারিক জানিয়েছেন, ব্লকের বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের এই মুরগি চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিশেষ প্রজাতির কড়কনাথ মুরগির শরীরের পালক কালো বর্ণের, হাড়, মাংসও কালচে, এদের ডিমও কালচে আভাযুক্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কড়কনাথ মুরগির মাংসে বি১, বি২, বি৬, বি১২, সি, ই, নিয়াসিন, প্রোটিন, ফ্যাট, নিকোটিনিক অ্যাসিড, ফসফরাস, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট থাকে। কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতে, ক্যান্সারে অব্যর্থ হয়ে উঠতে পারে এই মুরগির মাংস ও ডিম। ডায়াবেটিস রোগীদের রোজকার খাদ্যাভাসে এই মাংস রাখলে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই মুরগির মাংসে কার্নোসিন থাকায় এটি গ্রহণে শরীরের আয়রনের মাত্রা এবং পেশির জোর বৃদ্ধি পায় ও কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস হয়। তাই অন্যান্য পোল্ট্রি এবং দেশি মুরগির চেয়ে এই কালো কড়কনাথ মুরগির মাংস খুবই উপকারী।

ব্লকের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক সুব্রত সরকার জানিয়েছেন, কালো রঙের কড়কনাথ মুরগি পূর্বে সাধারণত গ্রামে সকলেই বাড়িতে পালন করতেন। কিন্তু বর্তমানে এই প্রজাতির মুরগি আর সেভাবে দেখা যায় না। তাই আবার এই কড়কনাথ মুরগির প্রতিপালন পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্যই তা বাসিন্দাদের বিলি করা হচ্ছে। পুরুলিয়া, হরিণঘাটা, সুন্দরবন, কাকদ্বীপ, বর্ধমান-সহ বেশ কিছু জেলায় মধ্যপ্রদেশ থেকে ছানা এনে কড়কনাথের চাষ শুরু হয়েছে। এই মুরগির মাংসের দাম সাধারণ মুরগির তুলনায় অনেকটাই বেশি। ৬০০ টাকা থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যে এই মাংস বিক্রি হয়। এই মুরগির ডিমের দামও বেশি। তবে ব্রয়লার মুরগির যেখানে ৪৫ দিনে আড়াই কেজি ওজন বৃদ্ধি হয়, সেখানে এই প্রজাতির বৃদ্ধি হয় ৬ মাসে দেড় কেজি। বাজারে এই মুরগির এর চাহিদাও থাকে যথেষ্ট, তবে চাহিদার তুলনায় এই মুরগির মাংসের জোগান কম। তাই রাজ্য সরকার কড়কনাথ মুরগি চাষে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।

স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)

Published On: 11 February 2020, 02:38 PM English Summary: Karkanath-cockerel- are- distributed -by- the- state

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters