কৃষিজাগরন ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী ও খাড়ি সন্নিহিত জেলাগুলিতে (যেমন পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা) গলদা চিংড়ি প্রজননের সম্ভাবনা আছে, সমুদ্র উপকূলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ মানুষেরা তাদের জীবিকা নির্বাহ করার লক্ষ্যে নদী থেকে নিষিক্ত ডিমযুক্ত স্ত্রী চিংড়ি সংগ্রহ করে প্রজননের জন্য ছোট পুকুর (০.১ হেক্টর ও তার কম)- এ মজুত করেন। অনেক মহিলারা নদী থেকে শুধুমাত্র মিন সংগ্রহ করে থাকেন।
পুকুরের আয়তন : নিষিক্ত ডিমযুক্ত স্ত্রী চিংড়ির ডিমগুলিকে ছাড়ার ও লার্ভা প্রতিপালনের জন্য ছোট পুকুর ( ০১ হেক্টর ও তার কম) প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ গলদাচিংড়ি সনাক্তকরণের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি
নিষিক্ত ডিমযুক্ত স্ত্রী চিংড়ি স্ত্রী চিংড়ি নিষিক্ত ডিমগুলিকে নিজের নিমরের তলায় সন্তরণ পদের মধ্যে কিছু রোঁয়ার সাহায্যে ধরে রাখে। ডিমগুলি চিংড়ির ত্বকের নিচে এক প্রকার আঠালো পদার্থ দ্বারা দেশের সাথে লেগে থাকে। প্রথম পরিণত म চিংড়ি ৩০০০-৭০০০ ডিম দিতে পারে। নিষিক্ত কমলা রঙের হয় এবং মোটামুটি ১২ দিন পর বাদামি রঙে রূপান্তরিত হয় ডিম ফোটার ঠিক আগে সবুজাভ রঙের হয়ে থাকে। এক বছর বয়সের স্ত্রী গলদা চিংড়ি (২০ সেমি. মাপের) প্রায় ৪০০০০-১০০০০০ ডিম দিতে পারে।
আরও পড়ুনঃ চিংড়ি মাছের লার্ভা প্রতিপালনের জন্য পুকুর প্রস্তুতি
ড: তারা মাইতি মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক, তারকেশ্বর ব্লক, শ্রী অনিন্দ্য নায়ক বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ ( মৎস্য বিজ্ঞান । উত্তর ২৪ পরগণা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং ড. প্রতাপ মুখোপাধ্যায় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিজ্ঞানী (CARDFA) [email protected]
Share your comments