কোন প্রজাতির গরু পালন করে কৃষকের আয় বাড়বে? কম খরচে সবচেয়ে বেশি দুধ দেয় এই প্রজাতি

পশুপালকরা অতিরিক্ত আয়ের জন্য পালন করতে পারেন থারপারকার প্রজাতির গরু। কোথায় পাওয়া যায় এই প্রজাতির গরু? এই জাতটি পশ্চিম সীমান্তের পশ্চিম রাজস্থান এবং সিন্ধু পাকিস্তানে অধিক দেখা যায়। ভারতে এই গরুর জাতটি প্রধানত বার্মা, জয়সওয়ালমির, যোধপুর, কচ্ছ অঞ্চলে দেখা যায়।

KJ Staff
KJ Staff
Tharparker cow
Tharparkar Cow (Image Credit - Google)

পশুপালকরা অতিরিক্ত আয়ের জন্য পালন করতে পারেন থারপারকার প্রজাতির গরু। কোথায় পাওয়া যায় এই প্রজাতির গরু? এই জাতটি পশ্চিম সীমান্তের পশ্চিম রাজস্থান এবং সিন্ধু পাকিস্তানে অধিক দেখা যায়। ভারতে এই গরুর জাতটি প্রধানত বার্মা, জয়সওয়ালমির, যোধপুর, কচ্ছ অঞ্চলে দেখা যায়। এই প্রজাতিটি ধূসর সিন্ধি, হোয়াইট সিন্ধি এবং থারি নামেও পরিচিত।

এই জাতের বৈশিষ্ট্য -  

এদের দেহ মাঝারি আকারের এবং বর্ণ হালকা বাদামী। শরীর এবং হাড় বেশ শক্ত। মুখটি সাধারণত দীর্ঘায়িত হয়, মাথা প্রশস্ত, এদের শিং মাঝারি আকারের, প্রান্ত ধারালো।

দুধ দেওয়া ছাড়াও এই জাতের ষাঁড়গুলি চাষ ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং, এই জাতকে দ্বৈত উদ্দেশ্য প্রজাতিও বলা হয়। এদের দুধে ৫% ফ্যাট রয়েছে। এই জাতের গরু প্রতিদিন দশ লিটার দুধ দেয়।

থারপারকার জাতির গরুর চাহিদা -

এই জাতের গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব ভাল। শরীর স্বাস্থ্যের দিক থেকে সেরা হিসাবে বিবেচিত, পাশাপাশি কম খরচে সবচেয়ে বেশি দুধ দেয় এই প্রজাতিটি। এই জাতের গাভী আঞ্চলিক গ্রামবাসীদের জীবনের সহায়ক। পশুপালন ও দুগ্ধ প্রতিষ্ঠানে থারপারকার জাতের গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

খাদ্য ব্যবস্থাপনা -  

খাদ্য ব্যবস্থাপনার দিক থেকে এই জাতের গরুর খরচ খুব কম। এই প্রজাতিটি কম ও শুকনো চারা খেয়েও বেশী দুধ উত্পাদন করতে পারে।

এদের ভুট্টা, যব, জোয়ার, বাজরা, গম, ওটস, চিনাবাদাম, সরিষা, তিল, ফ্লেক্সসিড থেকে তৈরি করা সবুজ চারা, খড় থেকে তৈরি উপচার খাদ্য হিদাবে দেওয়া যেতে পারে। প্রাণীটিকে তার দেহের ওজন অনুযায়ী খাবার দেওয়া উচিৎ, তবে অবশ্যই ভারসাম্যযুক্ত খাবার দিতে হবে।

সময়মতো অ্যান্টি-ভ্যাকসিন –

বাছুরদের ৬ মাস বয়সে ব্রুসেলোসিস সহ প্রথম টিকা দেওয়া উচিত। তারপরে এক মাস পর ক্ষুরারোগ, গলার রোগ এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রদান আবশ্যক। বাছুরের এক মাসের আগে শিং রোধন করবেন না। আরও একটি বিষয় মনে রাখবেন যে, প্রাণীটিকে অজ্ঞান না করে ইলেকট্রিক হিটার দিয়ে শিং রোধন করলে তা প্রাণীটির পক্ষে ভালো।

আরও পড়ুন - এই সময়ে দুগ্ধবর্তী গরুর বাসস্থানের গঠন ও তার পরিচর্যা কীভাবে করবেন ?

খাদ্যের ক্ষেত্রে সতর্কতা –

কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন: আটা, রুটি, ভাত ইত্যাদি প্রাণীদের খাওয়ানো উচিত নয়। প্রাণীদের সুষম ডায়েটে শস্য ও চারার অনুপাত ৪০:৬০ রাখা উচিত। এছাড়াও, এই সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক প্রাণীদের দৈনিক ৫০-৬০ গ্রাম এবং ছোট বাচ্চাদের ১০-১৫ গ্রাম ইলেকট্রল দিলে খুবই ভালো হয়। গ্রীষ্মের মরসুমে জমিতে উত্পাদিত চারায় (পশুর খাদ্যে) অনেক সময় বিষাক্ত পদার্থ থাকতে পারে, যা প্রাণীদের জন্য ক্ষতিকারক। সুতরাং, এই মরসুমে যদি বৃষ্টি না হয়, তবে আগে জমি ২-৩ বার জলে ভিজিয়ে নেওয়ার পরে তাদের চারা খাওয়ানো উচিৎ। এতে জমিতে কিছু বিষাক্ত পদার্থ থাকলে তা জলে ধুয়ে যাবে।

ম্যাস্টিটিস, ফুটরট, ব্ল্যাক কোয়ার্টার ইত্যাদির মতো রোগ থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য এই মরসুমে পশুদের অবশ্যই টিকা দিতে হবে, যাতে আগত বর্ষায় তাদের এই ধরণের সকল রোগ থেকে দূরে রাখা যায়।

আরও পড়ুন - কার্প জাতীয় মাছের কম্পোজিট ফার্মিং এ সরপুঁটি মাছের চাষে বাড়তি লাভ

Published On: 30 April 2021, 10:06 AM English Summary: Raising this breed of cow will increase the income of the farmer

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters