কৃষিজাগরন ডেস্কঃ গলদা চিংড়ির দেহকে দুভাগে ভাগ করা যায়। দেহের শিরোক্ষ অংশটি অন্যান্য অংশের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত। একটা বড়ো খোলস শিরোক্ষ কে সম্পূর্ণ ডেকে রাখে। এই খোলসটিকে ক্যারাপেস বলে। শিরোক্ষ এর সামনের দিকে লম্বা ও বাঁকানো একটি খড়গ বা রাস্ট্রাম থাকে। পরিণত চিংড়ির রষ্ট্রাম এর উপরিভাগে ১৩-১৪ টি কাঁটা ও নিচের ভাগে ১১১৩ টি কাঁটা থাকে। মোট ১৩ জোড়া উপাগ আছে, ৫ জোড়া ভ্রমণ পদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় জোড়াটির অগ্রভাগে একটি করে সাঁড়াশি বা দাঁড়া থাকে। গলদা চারার আকার সাধারণত ১ সেমি ধরা হয়।
বাসস্থান
মিষ্টি জনের খাল, বিল, নদী, হ্রস, মোহনা, পুকুর, এবং খাঁড়ি এলাকায় পাওয়া যায়। এই চিংড়ি মিষ্টি জনের প্রাণী হলেও প্রজনন ও লার্ভা প্রতিপালনের জন্য অল্প নোনাজলের (১০-১৫) পি.পি.টি দিকে পরিধান করে।
আরও পড়ুনঃ ডিম-মুরগির ব্যবসায় দ্বিগুণ লাভ হবে, আজই কিনুন RIR জাতের মুরগি
খাদ্যাভাস
গলদা চিংড়ি নিশাচর প্রাণী। জলের তল দেশে বাস করে তলায় যে সব প্রাণী বা উদ্ভিদ পাওয়া যায় তাই গ্রহণ করে। এক কথায় এদের সর্বভুক বলা হয়, রটিফার, ডায়াট, মৌপলিউস, পেরিফাইটন প্রভৃতি এদের অতি প্রিয় খাদ্য।
জীবনচক্র
গলদা চিংড়ির জীবন চক্রে ৬ টি অবস্থার পরিচয় রয়েছে, যথা, ডিম্ লার্ভা পোস্ট লার্ভা - জুভেনাইল - সার অ্যাডাল্ট - অ্যাডাল্ট। পুরো জীবন চক্র পূরণ করতে ৬-৭ মাস সময় লাগে।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন পোনওয়ার জাতের গরুর বিশেষত্ব কী
Share your comments