মাটির সংজ্ঞাঃ
মৃত্তিকা-বিজ্ঞানীগণ মাটির নানারূপ সংজ্ঞা দিয়েছেন, যেমনঃ
(১) ভূ-পৃষ্ঠের নরম আবরনের নাম মৃত্তিকা।
(২) উদ্ভিদ জন্মানোর উপযোগী খনিজ, জীব ও জৈব সমন্বয়ে গতিশীল প্রাকৃতিক বস্তুকে মাটি বলে।
(৩) সময়ের ব্যবধানে জলবায়ূ ও জৈব পদার্থের সমন্বিত প্রভাবে রূপান্তরিত উৎস শিলা সৃষ্ট গাছ জন্মানোর উপযোগী ভূ-পৃষ্ঠের প্রাকৃতিক বস্তর সমষ্টিকে মৃত্তিকা বলে।
(৪) পৃথিবীর উপরিভাগের যে নরম স্তরে গাছপালা মূল স্থাপন করে রস শোষণ করে জন্মায় ও বৃদ্ধি পায় তাকে মাটি বলে।
(৫) মাটি হচ্ছে কঠিন পদার্থের ছোট ছোট টুকরা, জল ও বায়ুর সমন্বয়ে গঠিত যৌগিক পদার্থ।
(৬) পৃথিবীর শক্ত আবণের সবচেয়ে উপরের স্তরকে মাটি বলে।
মাটির বৈশিষ্ট্য (Soil properties) - মাটিতে বিদ্যমান কঠিন, তরল বা বায়বীয় পদার্থ যৌথভাবে একটি বিশেষ প্রকৃতি উৎপন্ন করে। মাটির এই প্রকৃতি প্রকাশের জন্য মাটির সকল বৈশিষ্ট্যকে নিম্নরূপ ৩টি শ্রেণীতে বর্ণনা করা হয়। যেমন-
ক) মাটির ভৌত বৈশিষ্ট্য
খ) মাটির রাসানিক বৈশিষ্ট্য
গ) মাটির জৈবিক বৈশিষ্ট্য
জমি চাষাবাদ, ফসল উৎপাদন ও মৃত্তিকা উর্বরতা ব্যবস্থাপনায় মাটির ভৌত রাসায়নিক ও জৈবিক ধর্মের প্রভাব খুব তাৎপর্যপূর্ণ।
মৃত্তিকা বৈশিষ্ট্য প্রভাবিত করে এমন কতগুলি কৃষি প্রক্রিয়া নিচে উল্লেখ করা হলো -
১। বীজের অঙ্কুরোদ্গম
২। তাপমাত্রা ও বায়ুচলাচল
৩। জল বাহন ও ভুমি ক্ষয়
৪। উদ্ভিদ শিকড়ের প্রতিষ্ঠা
৬। উদ্ভিদ ধারণ ও পুষ্টি
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)
Share your comments