দানা জাতীয় খাদ্যের মধ্যে কাউন অন্যতম । কাউন দিয়ে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার যেমন-পায়েস তৈরি করা হয় । বিস্কুট তৈরিতেও কাউন ব্যবহার করা হয় । তাই দানা জাতীয় সুস্বাদু ফসল হিসেবে কাউনের চাহিদা শহর গ্রাম সব জায়গাতেই আছে । কাউন চাষ করে পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদিত পন্য বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করাও সম্ভব ।
এছাড়া দেশের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত উৎপাদন বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব ।এক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে থাকে । কাউন বিদেশে রপ্তানি করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে । রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে নভেম্বর থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বীজ বপন করা যায় । দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে বীজ বপন করা হয় ।
প্রায় সব ধরণের মাটিতেই কাউনের চাষ করা যায় । তবে জল জমে না এরকম বেলে, দো-আঁশ মাটিতে এর ফলন ভালো হয় । কৃষকদের মতে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে কাউন চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈবসার প্রয়োগ করতে হবে । মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরণ অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে । তবে জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকবে । বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সার সংগ্রহ করা যাবে । নিজেদের গবাদি পশু না থাকলে পাড়া-প্রতিবেশি যারা গবাদি পশু পালন করে তাদের কাছ থেকে গোবর সংগ্রহ করা যেতে পারে ।
বাড়ির আশেপাশে গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদি স্তুপ করে রেখে আবর্জনা পচা সার তৈরি করা সম্ভব । কাউন চাষের আগে অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে কাউন চাষের বিস্তারিত জেনে নিতে হবে । এছাড়া চাষ সংক্রান্ত কোন তথ্য জানতে হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে । এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলা ও গ্রামিন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে । এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্ধারিত ফি এর বিনিময়ে কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে । কম উর্বর জমিতে অল্প চাষে কাউন উৎপাদন করা যায় । তাই অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতে কাউন চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদন বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করা সম্ভব ।
আরও পড়ুন
Monofilament shade net: মনোফিলামেন্ট শেডনেট ব্যাবহারে চাষের বিপুল উন্নতির সুযোগ
Vertical Farming: উল্লম্ব চাষ ও ছাদ বাগানের সাথে কৃষির ক্রমবিকাশ
Share your comments